Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শক্তিশালী বস্ত্র ও পোশাক খাত তৈরিতে কাজ করছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান, রফতানি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বস্ত্র ও পোশাক খাত বিকশিত করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম শক্তিশালী বস্ত্র ও পোশাক খাত তৈরিতে কাজ করছে সরকার।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বস্ত্রনীতি-২০১৭ এ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির প্রথম বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, বস্ত্র পরিদফতরের পরিচালক ইসমাইল হোসেন, বিটিএমসির চোরম্যান বিগ্রে. জে. মাহবুব আহমেদ জাকারিয়া, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআই, বিটিএমএ, বিকেএমইএ ও বিটিটিএলএমইএ-এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর স্টেকহোল্ডারগণ যেমন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ এবং বিজিএএমপিআইএকে নিবিড়ভাবে একসাথে কাজ করতে হবে। ‘বস্ত্র আইন-২০১৭’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও দেশের বস্ত্র খাতকে আরো প্রতিযোগিতায় সক্ষম ও দক্ষভাবে গড়ে তোলার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সব ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত। সভায় বস্ত্রপণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ এবং মধ্য ও উচ্চমূল্য সংযোজিত রফতানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক বস্ত্রশিল্পের অধিকতর উন্নয়ন, বস্ত্র উপ-খাতের জাতীয় অগ্রাধিকারভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, দেশের বস্ত্রখাতে উৎপাদিত পণ্য সর্বাধিক প্রাধিকারপ্রাপ্ত শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, মোস্ট ফেভারর্ড ন্যাশনাল স্ট্যাটাসের স্বীকৃতি আদায়, বস্ত্রখাতের বিভিন্ন উপ-খাতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা স¤প্রসারণ, পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কারখানাসমূহে ইএফটি স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক বিদ্যমান পরিবেশ আইন ও পরিবেশ বিধিমালা অনুসরণ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রতিষ্ঠাকরণ, বস্ত্র ও পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং তৈরী পোশাকের রফতানিবাজার স¤প্রসারণ, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্মকাÐ জোরদারকরণ এবং বাজার পরিসংখ্যান সম্পর্কিত তথ্য ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ়করণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে দেশীয় বস্ত্রের প্রদর্শনী এবং মিউজিয়াম স্থাপন, বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্টকরণের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ, বস্ত্রশিল্পের প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিষয়ে বিস্তারিত আরোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্র খাত থেকে রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিরাষ্ট্রীয়করণের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়া অনেক বস্ত্রকল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি খাতে দেয়ার সময় যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল সেসব শর্ত ভঙ্গকারীদের থেকে বস্ত্রকল আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে । এসব বস্ত্রকল যেসব জমির উপর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা চাইলে পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মধ্যে লিজ দেয়া হবে। দেশে বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রতিটি বৃহত্তম জেলায় একটি করে টেক্সটাইল কলেজ এবং প্রতিটি জেলায় একটি করে ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য বস্ত্র নীতি-২০১৭ অনুযায়ী বস্ত্র ও পোশাক খাতে পরিকল্পিত শিল্পায়নে শিল্পোদ্যোক্তাদের শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা ও কার্যকরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি ন্যূনপক্ষে ষান্মিাসিক ভিত্তিতে সভায় মিলিত হবেন এবং বস্ত্র নীতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়ন এবং ক্ষেত্রমতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ