রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, গফরগাঁও থেকে: আর মাত্র কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা (পুশু কোরবানী) দেয়ার কাটার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মেরামত কিংবা নতুন করে তৈরী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ গোটা গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচের কামারপাড়া । ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কামার পরিবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা রাতদিন তৈরী করছে হরেক-রকমের দা, ছুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। অনেকেই আবার পুরাতন দা, বটি ও ছুড়ি নতুন করে মেরামত করার জন্য কামার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। গফরগাঁও পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে শত শত কামার পরিবার এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। গফরগাঁও পৌর শহরের নতুন বাজারের কামার গোপাল জানান, ভাইরে আমরা কোন ব্যাংক হতে ঝণ পাইন । ঋণ পাওয়া গেলে আমাদের জন্য ভাল হতো। সে আরও জানান, অন্যান্য বারের তুলনা এ বারে নতুন দা-কোবা-বুটি তৈরী অর্ডার বেড়েছে। আর পুরাতন গুলো মেরামত হচ্ছে পরিমানে বেশী । বিশেষ করে কোরবানীর ঈদ এলে এসব দা, বটিসহ অন্যান্য উপকরনের কদর বেড়ে যায়। কয়লার অভাবে কাজ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এখন কয়লা পাওয়া দুস্কর হয়ে দাড়িয়েছে। কয়লা পাওয়া গেলেও তা দামও চড়া। কালের বিবর্তমানে গ্রামবাংলার কয়লা হারিয়ে যাচ্ছে। এখন গ্রামবাংলায় এলপি গ্যাস ও বন্ধু চুলা দিয়ে রান্না করা হচ্ছে। কামারপট্টিতে আসা-যাওয়া করলে শব্দ থাকায় যায় না। দিন-রাত পোড়া কয়লার গন্ধ, হাঁপড়ের হাঁস-ফাঁস আর হাতুঁরী পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরী হচ্ছে গ্রাম বাংলার চকচকে ধারালো দা-চাপাতি, ছুরি ,বটিসহ নিমিষে গোস্ত কাটার-কুটার উপকরণ । কামার দোকানীরা জানান, কয়লা, লোহা সহ অন্যান্য উপকরনের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে নতুন দা, বটিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দামও বেড়ে গেছে । বছরের মধ্যে ১১মাসেই কামার পরিবারদের বসে থাকতে হয় । শুধু কোরবানীর ঈদ এলেই তাদের ব্যস্ততা পুরোদমে বেড়ে যায় । এসময়টাই কিছুটা ক্ষনিকের জন্য আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনেক কামার বাড়ী বাড়ী গিয়ে দা-বটি-ছড়ি মেরামত করে থাকে। দোকানে আসা ক্রেতা মোঃ ইন্তুু মহাজন জানান , ভাইরে গরু জবাই করার জন্য বড় একটা ছুরি তৈরী করার অর্ডার দিয়েছি। তার দাম হলো একহাজার দুইশত টাকা মাত্র। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে কোরবানী দেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।