Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রায়ের পর আওয়ামী লীগের পদত্যাগ করা উচিত-মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার বৈধতা হারিয়েছে। তাই তাদের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১ টায় কারামুক্ত বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুকে নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্টে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি একথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে বিচার বিভাগ ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা যেই ধরণের বক্তব্য দিচ্ছেন তা আদালত অবমাননা ও সংবিধান পরিপন্থি। রায় বাতিলের পর ক্ষমতাসীন সরকার প্রধান থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা প্রধান বিচারপতি ও বিচার বিভাগকে নিয়ে যেভাবে মনগড়া কথা বলছে এগুলো বেআইনি। আওয়ামী লীগ আইনের শাসনের বিরোধী। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নষ্ট করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। যেটা এদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।
রায়ের পর বিএনপি যে স্বপ্ন দেখেছিল সেটি উল্টে গেছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সরকারের আসল চেহারা পরিষ্কার বেরিয়ে গেছে। এই কারণে তারা এই সমস্ত অমূলক কথা-বার্তা বলছেন।
নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে বলে দিয়েছেন, এই সংলাপে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। কারণ তারা বলেছেন যে তাদের দায়িত্ব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ হচ্ছে। এখানে মুল যে সমস্যা রয়েছে, সে সংকট নিরসনে এটা এই সংলাপ কোনো কাজ করবে না। অর্থাৎ সহায়ক সরকার এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ পরিবেশের বিষয়টি কোনো সমাধান দিতে পারবে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টর মওদুদ আহমদ বলেন, এটা কোনোদিন জীবনেও শুনেনি যারা প্রশাসনে আছেন, কোনো একটা রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলাপ করে। সুতরাং এটা বলতে হবে যে তারা বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করছেন ও প্রধান বিচারপতিকে প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগরের নেতা কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, গোলাম মাওলা শাহিন, ছাত্রদলের আকরামুল হাসান। তিন মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের জামিনে গত ১৮ আগস্ট বরকতউল্লাহ বুলু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। গত ১৮ মে নাশকতার ১৩ মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ