পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ষোড়শসংশোধনীর রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বাংলাদেশে থাকার কোন অধিকার নাই বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ষাড়শসংশোধনীর রায় পাকিস্তানের আইএসআইয়ের লেখা দাবি করে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, এই ষোড়শসংশোধনীতে তার লেখা রায় পড়লে আপনারা দেখতে পাবেন, অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ তার লেখা আগের কোন রায়ে লেখা নাই। অর্থাৎ এত পরিস্কার এই লেখা রায় তার লেখা নয়। অন্য কেউ লিখে দিয়েছে। সম্ভবত পাকিস্তানী কোনো আইএসআই লিখে দিয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতা পরিষদ নামের একটি সংগঠনের শোক দিবসের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদও বক্তব্য দেন।
মানিক বলেন, ষোড়শসংশোধনী মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না এমন অনেক কথা তিনি অবজারবেশনে বলেছেন। প্রধান বিচারপতির কাজ রাজনীতি করা না। যে প্রধান বিচারপতি রাজনীতি করে সেটা তার অযোগ্যতা। এসব করে তিনি অনেকভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। শপথ ভঙ্গ করেছেন, তার আর এই পথে থাকার কোন অধিকার নাই। তাকে অবশ্যই এই পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
পঁচিশদিনে ৪০০ পৃষ্ঠার রায় কোনভাবেই লেখা সম্ভব নয় দাবি করে সামসুদ্দিন মানিক বলেন, ওনি মাত্র পচিশ দিন সময়ের মধ্যে ৪০০ পৃষ্ঠার কথা লিখেছেন। যেটা ইমপসিবল, যেটা হতে পারে না। এটা তার লেখা রায় মোটেও নয়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা তুমি শুধু প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়বা না, এই দেশ ছাড়তে হবে। এ দেশে থাকার কোন অধিকার তোমার নাই। তুমি যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব স্বীকার কর না যেটা বিশ্ববাসী স্বীকার করে।
হাসান মাহমুদ বলেন, অস¤প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকার, এমনটা প্রমাণ করতে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আর এই প্রধান বিচারপতি এখন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ এক বিচারককে বাঁচানোর জন্য তিনি দুদকে চিঠি দিয়েছেন। দুর্নীতি যে করে এবং যে প্রশ্রয় দেয় উভয়ে সমান অপরাধী। দুদকের ৫নং ধারা অনুযায়ী তিনিও সেই অপরাধ করেছেন।
বিএনপি প্রধান বিচারপতির ঘাড়ে বসে রাজনীতি করছে বলে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, তেল-গ্যাস আন্দোলনের ঘাড়ে বসে বিএনপি রাজনীতি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এখন বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ঘাড়ে বসে রাজনীতি করছে।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা বিএনপি চেয়ারপারসন, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও রিজভী আহমেদকে মামলার আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় এড়াতে পারেন না। কারণ তিনি সে সময় দেশের সরকার প্রধান ছিলেন। আর বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং রিজভী আহমেদ সম্প্রতি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বক্তব্য দেয়ায় তাদেরকেও এ মামলার আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ফজলুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।
###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।