Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপদ যাতায়াতে অন্তরায় জরাজীর্ণ সড়ক

| প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : আসন্ন ঈদে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপদ যাতয়াতের অন্তরায় জরাজীর্ণ সড়ক। বর্ষা, পানিবদ্ধতা ও দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ক্ষত-বিক্ষত খুলনার ছোট-বড় সব সড়ক। কেসিসি ও সড়ক বিভাগের মতে- খুলনার প্রধান সড়কগুলোর ৫২কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত। এদিকে এলজিইডি’র আওতাধীন ১৩০কিলোমিটার সড়কও চলাচলের অনুপযোগী বলে সূত্রে জানা গেছে। সড়ক বিভাগ সূত্র জানান, খুলনা সড়ক বিভাগে ৩৭১ কিলোমিটারের মধ্যে দু’টি জাতীয় মহাসড়ক, দু’টি আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ১১টি জেলা সড়ক রয়েছে। জাতীয় মহাসড়ক দু’টির খুলনার অংশ ভালো থাকলেও আঞ্চলিক মহাসড়ক দু’টির অবস্থা নাজুক। এরমধ্যে, খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটির অবস্থা মারাত্মক জরাজীর্ণ। ৬৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটির খুলনা অংশে পড়েছে ৩৩কিলোমিটার। তার ১৫ কিলোমিটারের অবস্থাই ভয়াবহ খারাপ। সড়ক বিভাগ খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন কায়সার জানান, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ২৮কিলোমিটার অংশ পুননির্মাণে ১৬২ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। সড়কটি ৩৪ ফুট চওড়া করে পুনর্নিমাণ করা হবে। বর্তমানে সড়কটি ২০ফুট চওড়া। এরমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে; তবে কাজ শুরু করতে অন্তত দু’মাস লাগবে। অন্যান্য সড়কও সংস্কারের জন্য দরপত্র প্রস্তুতের কাজ চলছে। বৃষ্টি কমলেই সড়ক মেরামতের কাজ করা হবে। ঈদে মানুষ ভালোভাবে যাতে বাড়ি পৌঁছতে পারে, এজন্য খানাখন্দ মেরামত করা হচ্ছে। এলজিইডি সূত্র জানান, এলজিইডি’র পাকা সড়কের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩২কিলোমিটার। এরমধ্যে ১৩০ কিলোমিটার ভাঙাচোরা। কেসিসি সূত্র জানান, নগরীতে কেসিসি’র এক হাজার ২১৫টির সড়কের দৈর্ঘ্য ৬৪০কিলোমিটার। এরমধ্যে প্রধান সড়ক আড়াই শতাধিক। যার দৈর্ঘ্য ২০০ কিলোমিটার প্রায়। সম্প্রতি সময়ের বর্ষায় মূল সড়কগুলোর বেশিরভাগেই গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। এরমধ্যে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ির পর রয়েল মোড় থেকে রূপসা ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটি পাড়া-গাঁয়ের কাঁচা রাস্তার মতোই। কেসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী-৩ মশিউজ্জামান খান বলেন, তার অংশে ১২ কিলোমিটার সড়ক খারাপ রয়েছে। সেগুলোও মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী খান জানান, তার অংশে ২০কিলোমিটারের মতো সড়কে গর্ত হয়েছে। মেরামতের জন্য দরপত্র আহŸান করা হয়েছে। কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, বৃষ্টির কারণে শহরের সড়কে এ সমস্যা হয়েছে। সড়কের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থায় বৃষ্টি শেষ হলে সড়কগুলো মেরামত করা হবে। নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) জেলা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেছেন, প্রতি ঈদে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের একটি বিরাট অংশ সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন যায়। চালক, যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের সচেনতা সৃষ্টি করেও মৃত্যুহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না; এরমধ্যে যোগ হচ্ছে বেহাল সড়কের জরাজীর্ণতা। দুর্ঘটনা ও জীবনহানী বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকেই যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ