রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমিনুল হক, মীরসরাই ( চট্টগ্রাম) থেকে : আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানীর পশুর হাটে স¤প্রতি চলছে পশু বেচাকেনার প্রস্তুতি, পাশাপাশি দা, ছুরি, ধামা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হতে দেখা যাচ্ছে কামারদের। কোরবানী দাতা পরিবারের সদস্যরা কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কসাইরা নিজেদের চাহিদা মতো দা, ছুরি, চাকু, ধামা, কুড়াল, বটি জোগাড় করবে সবাই তাকার কামাররা এখন থেকে তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করে বাড়াচ্ছেন তোড়জোড়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার তথা, বারইয়াহাট, মিঠাছরা, শান্তিরহাট, বামনসুন্দর, আবুরহাঁ, বড় দারোগারহাট সহ ছোটবড় সকল হাটের সর্বত্র কামারদের ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে এখন। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন তারা দা, ছুরি, চাকু, কুড়াল, কাঠারি, বটিসহ ধারালো কর্তন সামগ্রী বানিয়ে চলেছে ওরা। কেউবা অর্ডারকৃত আর কেউবা নিজের লোহা দিয়েই তৈরি করে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। তবে এসব তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি কামার পাড়াগুলোয়। পুরানো নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো কর্তন সামগ্রী তৈরির কাজ। কামাররা জানায়, এ পেশায় অধিক পরিশ্রম। আর শ্রম অনুযায়ী তারা এর যথাযথ মূল্য পান না। কারণ লোহার বাজার দর বেশি। পাশাপাশি খাদ্য দ্রব্যের মূল্যের সাথে ভারসাম্য রেখে যদি কামাররা তাদের লোহার ধারালো কর্তন সামগ্রী তৈরি করতো তাহলে এ পেশাজীবীরাও মূল্যায়ন পেত বলে তারা মনে করেন। জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে তারা এখনও আঁকড়ে আছেন। মিঠাছরা বাজারের কামার মিহির কর্মকার বলে আসছে ঈদ পর্যন্ত আশা করছি একেক জন কামার খরচ বাদে এখন দৈনিক ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করবেন। তারা আরও জানান, একটি বড় দা ৫ কেজির লোহা দিয়ে তৈরি করে মজুরিসহ ৭শ’ টাকা, কুড়াল ১ কেজির ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বাশিলা ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, বড় ছোরা ওজন মতে ৩ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা, পশু কুড়াল ৩ থেকে ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে লোহা গ্রাহকের হলে সেক্ষেত্রে শুধু তৈরি ও শান বাবদ এসব সামগ্রীর প্রতিপিস ৫০ থেকে ১৫০ টাকা গ্রহণ করা হয়। কামারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদে যে বেচাকেনা হয় তা আর অন্য সময় হয় না। তাই ঈদের আগে এ পেশাজীবীদের সচ্ছল হওয়ার মোক্ষম সময়। এ কারণে অনেকে মজুদ করে ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন হাঁবাজারে বিক্রি করছেন। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রি ততো বেশী হবে বলে জানান তারা। সারা বছর তৈরীকৃত এসব পন্য যত বিক্রি হয় না তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয় ঈদ মৌসুমে তাই সামান্য লাভে বিক্রি করছি। সব মিলে ভালোই আছেন মীরসরাই উপজেলার কামার শিল্পীরা। শান্তিরহাঁ বাজারের বাজারের কামারি মোহন কর্মকার বলেন লোহার নানান পশুজবাই অস্ত্রেও এখন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন ১৫০০ টাকা আয় হয়। হাতে অতিরিক্ত কাজ থাকার কারণে নতুন কাজ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, কামারিদের এই ব্যস্ততা চলবে ঈদের আগদিন পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।