পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সব অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। তারা বলেছেন, যে সব অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির প্রধান অতিথি থাকবেন সেগুলো বর্জন করবে সরকার সমর্থিত আইনজীবীরা। আগামী অক্টোবরের মধ্যে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের এক সমাবেশে এই ঘোষণা দিয়েছে বক্তরা। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ করে পরিষদ।
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি বলেন, প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন। শপথ ভঙ্গের কারণে তিনি আর সেই পদে আসীন থাকতে পারেন না। অক্টোবরের মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রায় দেয়ার সময় কেউ যদি রাগ-বিরাগ বা ভীত হয়ে রায় দেয়, সেই রায় কোনোদিনও আইনসিদ্ধ হতে পারে না এবং সেটাও একটি আইন ভঙ্গের শামিল। সুতরাং সবদিক থেকে আপনারা অযোগ্য হয়ে গেছেন। এই প্রধান বিচারপতির পদটি ধরে রাখার আপনার আর কোনো যোগ্যতা নেই। তাই আগামী অক্টোবরের আগেই আপনি এই পদ থেকে চলে যাবেন। অক্টোবরের মধ্যে প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব না ছাড়লে এক দফা এক দাবি’র আন্দোলন শুরুর ঘোষণা করের সংগঠনের সদস্য সচিব ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস।
প্রধান বিচারপতির সব অনুষ্ঠান এবং যেসব কর্মসূচিতে তিনি প্রধান অতিথি থাকবেন সেগুলো বর্জনের ঘোষণাও আসে সমাবেশে। আমরা এসকে সিনহা সাহেবের সকল কর্মকান্ড, কর্মসূচি অবশ্যই বর্জন করব, প্রত্যাখ্যান করব এবং পরিহার করব। কোনো আইনজীবী তার (প্রধান বিচারপতির) কোনো প্রোগ্রামে যাবেন না।
আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম বলেন, তিনি (প্রধান বিচারপতি) কথায় কথায় যে ভারতের তুলনা করেন সেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় তাদের সংসদ বাতিল করে দিয়েছে। এটা এসকে সিনহার না জানার কথা নয়। যদি সংসদ মনে করেন, উনি যে রায় দিয়েছেন তা অসঙ্গতিপূর্ণ, অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত। তাহলে এ রায়তো সংসদও (বাংলাদেশের) বাতিল করে দিতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, আপনাকে (প্রধান বিচারপতি) অবশ্যই বন্ধের মধ্যেই এই পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করতেই হবে। তা না হলে, আমরা যে কর্মসূচি দেবো সেটা আপনি ভাবতেও পারছেন না। আইনজীবী সমাজকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।