Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বামীকে গলাটিপে মারলো স্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : রাতে বিছানায় স্বামীকে গলাটিপে হত্যা করে স্ত্রী। এরপর হার্টঅ্যাটাক করেছে বলে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তবে সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে গলাটিপে মারার কথা স্বীকার করে স্ত্রী শিরিন বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মঈন উদ্দিন জানান, গ্রেফতার শিরীন বেগম (৩০) হত্যাকাÐের কথা স্বীকার করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দীককে গলা চেপে ধরে শিরীন। বক্কর অজ্ঞান হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক করেছে বলে রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে এ ঘটনায় স্থানীয়রা শিরীনকে সন্দেহ করে। আবু বক্করের পরিবারও বিষয়টি রহস্যজনক জানিয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার বাংলাবাজার ঢেবার পাড় সোনালী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বুধবার শিরীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে নিয়ে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে শিরীন জানিয়েছে বক্কর তার দ্বিতীয় স্বামী। আগে স্বামীর ঘরে তার পাঁচ ও সাত বছর বয়েসী দুইটি সন্তান রয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ায় দেড় বছর আগে বক্করকে বিয়ে করে সে। বক্কর তার মা-বাবার কাছে টাকা পাঠানো নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হলে বক্কর শিরীনকে মারধর করে। এসময় শিরীন বক্করকে গলা টিপে ধরলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুরের বাসিন্দা বক্কর নগরীতে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতেন। আর বরগুনা জেলার তালতলীর বাসিন্দা শিরীন বায়েজিদ এলাকায় একটি পোশাক করাখানায় চাকরি করেন। প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর বয়সে ছোট বক্করকে বিয়ে করেন শিরীন। তবে তাদের এ ঘরে কোন সন্তান নেই। বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে কলহ হতো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। হাসপাতাল থেকে পুলিশ বক্করের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ