Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে’

সংবাদ সম্মেলনে অবস্থানরত কুবির শিক্ষক

| প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা : ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুঃখ: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি’ শিরোনামে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচির ১০ম দিন ও পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ছুটির আগে শেষ কার্যদিবসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আসাদুজ্জামান।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে এবং নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে ফেসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিঠি দেওয়ার পর অবস্থান কর্মসূচির ১০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অবস্থান কর্মসূচীর সার্বিক অবস্থা এবং তথ্য প্রমান সম্মলিত প্রমান জমা দেওয়ার পরও প্রশাসন কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেন আসাদুজ্জামান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১০ আগস্ট থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করে আসছেন তিনি।
জানা যায়, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে দুর্নীতি, দায়সারাভাবে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহাবের অভিযোগ তুলে গত ৩১ জুলাই ঐ শিক্ষক ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দেন। এ অভিযোগের বিষয়ে তথ্য প্রমাণাদিসহ লিখিত বক্তব্য রেজিস্ট্রারের নিকট ৭ কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থাপনের জন্য তাকে ৯ আগস্ট চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার শেষ দিনে গত ২১ আগস্ট রেজিস্ট্রারের কাছে তথ্য প্রমাণাদিসহ লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন জানাব আসাদুজ্জামান। এতে তিনি উল্লেখ করেন, টেন্ডার ছাড়া ২০ লক্ষ টাকার কাজ করানো, ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তা অস্বীকার, অর্থ কমিটির সদস্য না হয়েও অর্থ কমিটির ৩৪তম সভায় উপাচার্য সভাপতিত্ব করে ভাস্কর্যের বাজেট পাশ করানোসহ ভাস্কর্য নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে হয়রানি করতে আমাকে ঐ চিঠি দেয়া হয়। উপাচার্য দাবি করছেন যে, এ শোকজ নয়। কিন্তু তাহলে চিঠিতে সময়সীমার বধ্যবাধকতা ও ব্যক্তিগত নথিতে সংযুক্ত কেন করা হচ্ছে? দমন-পীড়ন ও হয়রানি করার জন্য উপাচার্য একে একে শিক্ষককের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।’ এ ভাস্কর্য নির্মানেও উপাচার্য স্বেচ্ছাচারী মনোভাব দেখিয়ে নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক কমিটি গুলোকে সুকৌশলে এড়িয়ে তিনি জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মানে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। আমি তথ্য প্রমাণ দিয়েছি কিন্তু এরপরও তদন্তের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।’ আগামী ৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি করার দাবি জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি এন. এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ