Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার শহর এখন ছিনতাইকারীদের আখড়া

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পর্যটন শহর কক্সবাজার এখন চোর-বাটপার ও ছিনতাইকারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন শহরের কোন না কোন অলি-গলিতে চুরি-ছিনতাই’র শিকার হচ্ছেন জনগণ। এমনকি বাসা-বাড়িতেও বেড়েছে চোরের উপদ্রব। প্রতিদিন মানুষ টাকা পয়সা, মোবাইল, ল্যাপটপ ও ঘড়িসহ মূল্যবান জিনিস পত্র হারাচ্ছেন অপরাধীদের হাতে। এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসীর সাথে কক্সবাজার শহরে বাইরের যাতায়াতকারীরাও। সামনে ঈদুল আজহা ও পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চোর-বাটপার, সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীরা এখন কক্সবাজারে স্থান নিচ্ছে। সচেতন মহলের মতে চিরুনী অভিযান চালিয়ে এদের পাকড়াও করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।
গতকাল সকালেও (৫.৩৮টায়) কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে ছিনতাই হয়েছে। বনফুল মিষ্টির দোকানের সামনে (ইসলামী ব্যাংকের পশ্চিম পাশে) ছিনতাইকারীরা টমটমের সামনে একটি মাহিন্দ্রা দিয়ে রাস্তা বøক করে ছিনিয়ে নিয়েছে ওই টমটমে থাকা সাংবাদিক শামসুল হক শারেক এর বিশ্বদ্যিালয় পড়–য়া পুত্র নাঈম শারেকের ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানি ব্যাগসহ মূল্যবান কাগজপত্র। এ সময় নাঈম রাতের গাড়ি থেকে হলিডে মোড়ে নেমে একটি টমটমে করে রোমালিয়ারছরা বাসায় যাচ্ছিল। ছিনতাইকারীরা নাঈমের কাছ থেকে ওগুলো ছিনিয়ে নিয়ে ওই মাহিন্দ্রা নিয়ে প্রধান সড়ক হয়ে বৌদ্ধমন্দির সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায়।
সাংবাদিক শারেক জনান, নাঈম শারেক রাত ১১টায় ফেনি থেকে কক্সবাজারগামী একটি বাসে উঠে। সকাল সাড়ে ৫টায় সে হলিডে মোড়ে পৌঁছায়। তাকে রিসিভ করতে ৫.৩২ টায় ফোন দিয়ে বাসায় বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। ৪ মিনিট পরে নাঈম (টমটম ড্রাইভারের নং থেকে ফোন দিয়ে) জানায় তিনজন অপরিচিত ছেলে টমটম থামিয়ে তাকে ধমক দিয়ে তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানি ব্যাগসহ মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তিনি আরো জানান, বিষয়টি সাথে সাথে মডেল থানার ওসি রঞ্জিত বডুয়াকে জানানো হলে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি একদল পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরার নির্দেশ দেন। এস আই শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও ছিনতাইকারী কাউকে আটক করা যায়নি এবং মালামাল উদ্ধার করা যায়নি।
এদিকে সম্প্রতি কক্সবাজার শহরে চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে জনগণ রাত জেগে পাড়া পাহারা দেয়ারও খবর পাওয়াগেছে। স্থানীয় ভাবে কয়েকটি এলাকায় সমাজ কমিটি গঠন করে পুলিশকে সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে এলাকার মানুষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ