Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কলারোয়ায় বেহাল গ্রামীণ পাকা সড়ক

| প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : কলারোয়ার রাস্তাঘাট বড় বড় খানা খন্দকে ভরে গেছে। উপজেলা সদরের সাথে গ্রামগজ্ঞে যাতায়াত ব্যবস্থা চরম বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। ভাঙাচোড়া রাস্তায় চলাচল করতে কলারোয়ার মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ছে। জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের দুই মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকবার ভারী বর্ষণ হয়েছে। রাস্তাঘাটের কানায় কানায় পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় পাকা রাস্তাগুলোর তলদেশ নরম হয়ে পড়েছে। ফলে ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তাগুলো ধ্বসে যাচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এর মধ্যে কলারোয়া-চান্দুড়িয়া সড়কের দমদম পর্যন্ত অংশ, কলারোয়া-বালিয়াডাঙ্গা সড়ক ভায়া লাঙ্গলঝাড়া সড়কের বিস্তৃর্ণ অংশ, আনুঃ এক কিলোমিটার বাদে কলারোয়া-সরসকাটি সড়ক, কলারোয়া-ধানদিয়া সড়ক, সোনাবাড়িয়া-বালিয়াডাঙ্গা সড়কের অংশ বিশেষ, সোনাবাড়িয়া-কেড়াগাছি ভায়া মাদ্রা সীমান্ত ফাড়ি সড়ক, সরসকাটি-তালুন্দিয়া সড়ক খুব বেশী বিধ্বস্থ হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম কারণে এক বছর পার হওয়ার আগে রাস্তা বিধ্বস্থ হতে শুরু করে। মে মাসের শেষ ভাগে মেরামত সম্পন্ন কলারোয়া-সরসকাটি সড়কের ১ কিলোমিটার ৩ মাস না যেতেই পিচ খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়কগুলো মাছের ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। মাছের ঘেরে কানায় কানায় পানি থাকায় এবং ঘেরে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহৃত রাস্তার মাটি নরম হয়ে ধ্বসে পড়ছে। অথচ সরকারী রাস্তা ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহারে আইনে সাজা শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ না থাকা রাস্তা মাছ ঘেরের বাঁধ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জমির মালিকদের রাস্তার পাশে এসে বসবাস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার হিড়িক পড়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে রাস্তার চেয়ে উচু করে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিটা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি রাস্তায় জমে থাকছে। ফলে রাস্তাগুলো দ্রুত খানা গর্তে পরিণত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ