Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিত্যক্ত স্কুল ভবনে পাঠদান

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মীরসরাই উপজেলার মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত ভবনে চলছে পাঠদান। ৫ বছর আগে দ্বিতল ভবনটি উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃক পরিত্যক্ত ঘোষনার পরও পর্যাপ্ত ভবন না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান পারিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছেন স্কুল কতৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ভবনের পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৪৭ সালে। আর মুল ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৬৫ সালে। ৫২ বছরের আগে নির্মিত এই ভবনটিতে বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগের ৭ টি ক্লাস চলে। বাকী যে ভবনটি রয়েছে সেখানে শ্রেনী কক্ষের সংকুলনা হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনটিতে ক্লাস নিতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটিতে বেশ কয়েকবার বিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কার করা হয়েছে। একদিকে সংস্কার করলে আরেকদিকে ভেঙ্গে যায় দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থান। ইতোমধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। এখনো ভবন নির্মাণে আশানুরূপ কোন সাড়া পাননি বলে জানান তিনি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পরিত্যক্ত ভবনটিতে বিভিন্ন বিভাগের ৫টি ক্লাস চলছে। প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের দেয়াল এবং ছাদে ফাটল রয়েছে। পলেস্তরা খসে আছে অনেক জায়গায়। দশম শ্রেনীর কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ইতোমধ্যে ক্লাস চলাকালানীন সময়ে বেশ কয়েকবার পলেস্তরা খসে পড়েছে। ক্লাসে তারা বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শিক্ষক মিলনায়তনের অবস্থাও ভালো নয়। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। পলেস্তরা ধ্বসে পড়ার শঙ্কায় থাকেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ১২০০ শিক্ষার্থী পড়ে মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ না করা হলে সঙ্কট আরো তীব্র হবে। মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত প্রাচীন এই বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। শীঘ্রই নতুন ভবন নির্মান না করা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। মীরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। শীঘ্রই এই সঙ্কট কেটে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ