Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন দিয়ে পাড়াপাড়

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জে ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় বামনডাঙ্গা- নলডাঙ্গা এলজিইডি’র পাকা সড়কটির ভেঙ্গে যাওয়া অংশ আজও মেরামত না করায় পথচারীরা রেল লাইনের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ঘাঘট নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলে রেল ব্রীজ সংলগ্ন বামনডাঙ্গা-নলডাঙ্গা সংযোগ এলজিইডির পাকা সড়কটির প্রায় ২০ ফুট অংশ ভেঙ্গে যায়। এতে করে ওই সড়ক দিয়ে নলডাঙ্গা, গাইবান্ধা, সাদুল্যাপুর, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিভিন্ন হয়ে পরে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রয়োজনের তাগিদে পথচারীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রেল স্টেশনে আসা যাত্রী সাধারণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া ভেঙ্গে যাওয়া অংশ দিয়ে পানির ¯্রােত এতই তীব্র যে, রেল সেতুটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ধীরগতিতে রেল চলাচল করছে। যে কোন মুহুর্তে রেল সেতুটি দেবে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। সেতুটি ভেঙ্গে গেলে উত্তরাঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে যেতে পারে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ভেঙ্গে যাওয়া সড়কটি চলাচলের উপযোগি করতে ৫ শতাধিক বালির বস্তা ফেললেও তা কোন কাজে আসেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্থানীয় ব্যক্তিরা সহযোগিতা না করায় সড়কটির ভেঙ্গে যাওয়া অংশ চলাচলের উপযোগি করতে বিলম্ব হচ্ছে। গাইবান্ধা পাউবো (পওর) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান সড়কটি এলজিইডির, তাই টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া ছাড়া আমাদের করণিয় কিছুই নেই। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর জানান, আমরা পানির ¯্রােত ঠেকানোর জন্য কাজ করি না। এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একমাত্র বিষয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ