Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৫৮৯.২৫ কেটি টাকা

| প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে ৪ হাজার ৫৮৯.২৫ কেটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরন না হওয়ার আশংকা করছে ব্যবসায়ীরা।
কারণ বন্দরে পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার অভাব, কাজে ঢিলেমি ও দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এসব অব্যবস্থাপনা আগে দূর করতে হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৬০কোটি ৩০ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৮০৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বিগত ৪টি অর্থবছর রাজস্ব ঘাটতির পর এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়।
বেনাপোল কাস্টমস’র একটি সূত্র বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারত থেকে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয় ভারত থেকে। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে ১লাখ ৭৭ হাজার ২২৬ মেট্রিক টন বেশি। এ সময় বন্দর থেকে শুল্ক পরিশোধ করে বন্দর থেকে পণ্য খালাস নেয় ১৪ লাখ ৩২ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমদানি হয় ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৮ মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে হয় আমদানি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আমদানি করা হয় ১২ লাখ ৫২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে আমদানি করা হয় ১১ লাখ ২৪ হাজার ১২৬ মেট্রিক টন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর জোর করে এইচ এস কোড পরিবর্তন ও মূল্য বৃদ্ধির কারনে ভিন্ন বন্দর ব্যবহার করছে ব্যবসায়ীরা। একই দেশে চট্রগ্রাম বন্দরে ১ ডলারে মূল্যের উপর শুল্ককর আদায় হচেছ সে একই পণ্য বেনাপোল বন্দরে দেড় ডলার মূল্যের উপর শুল্ককর আদায় করা হচেছ। এধরনের বৈশম্যের কারনে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ কওে দিযেছে বললেন আমদানিকারক মুসলিম উদ্দিন। বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দরে সব ধরনের পণ্য পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগার (ল্যাবরেটরি) না থাকায় পণ্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকাতে পাঠাতে হয়। ছোটখাট কেমিকেল পণ্যের নমুনা পরীক্ষায় চলে যায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পরীক্ষার জন্য প্রতি চালানে খরচ দিতে হয় এক লাখ দুই হাজার টাকা। আর পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় ১৫ থেকে ২০ দিন আমদানি করা পণ্য বন্দরে আটকে থাকে। ফলে আমদানি রফতানি বানিজ্যে বড় ধরনের ধস নামতে শুরু করেছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বেশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সে উন্নয়নও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন বাড়লে সরকারের রাজস্ব খাতে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ আয় আসবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ