পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিল্প মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিশে^র যে কয়জন রাষ্ট্রনায়ক নিজ নিজ দেশের উন্নয়ণে শীর্ষে রয়েছেন তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান ১০ম স্থানে। আজ যারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে অবৈধ সংসদ বলছেন, সেদিন তারা কি করে ছিলেন জাতির সামনে তা পরিস্কার। সেদিন নির্বাচনের প্রতিটি বুথকেন্দ্রের স্কুলে স্কুলে আগুন দিয়ে স্কুল ঘর পুড়িয়েছেন। স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামায়াতচক্র অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টাকে জাতি প্রতিহত করে আওয়ামী লীগকে দেশ সেবার দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, আজকে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা অত্যন্ত দু:খজনক। কিন্তু প্রধান বিচারপতিকে স্বরণ করিয়ে দিতে চাই, বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের কথা, তিনি বলেছিলেন সুপ্রিমকোর্ট হাইকোর্ট, ব্যাংক, অফিস আদালত বন্ধ থাকবে। রাস্তায় কোন গাড়ীর চাকা চলবে না, মিলকারখানা বন্ধ থাকবে। সেই সব দিনের কথা কি প্রধান বিচারপতি ভুলে গেছেন? ভুলে গেছেন পাকিস্তান শাসকের বিচারপতিও সেদিন সাহস দেখায়নি সুপ্রিমকোর্ট বসাতে। আর আপনি ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে যে খেলা খেলছেন প্রধান বিচারপতি এর মূল্য আপনাকেই দিতে হবে।
গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আমির হোসেন আমু প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, তাই আপনি পাকিস্তানের উদাহরণ টানবেন না। এটা বাংলাদেশ। এদেশ মুসলিম, হিন্দু, খ্রীস্টান, বৌদ্ধের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। তাই পাকিস্তানের আইন বালিশের নিচে রেখে দিন। ষোড়শ সংশোধনী আইনের জন্য দেশে যদি কোন পরিস্থিতি তৈরী হয় এর দায় দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, ১৫ই আগস্ট জাতি জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হারিয়েছে। যুবলীগের সভাপতি ফজলুল হক মনিসহ আরজু মনিকে হারিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তান করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে চাকুরী দিয়ে পূনর্বাসনই করেনি। যাতে হত্যার বিচার না হয় তার জন্য বিশেষ অধ্যাদেশ ইনডিমিনিটি বিল পাশ করেছিলো। বিচারপতি আপনি ভুলে যাবেন না বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং আগামীতেও হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, রক্ত স্নাত ১৫ই আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। সেই অধ্যায় এখনও অব্যাহত আছে। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বিলকে আজ আপননি বিতর্কিত করে তুলেছেন। জাতীয় সংসদ সদস্যদের নিয়েও আপনি মন্তব্য করতে কুন্ঠাবোধ করেননি। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্ম যাতে জানতে না পারে আপনি সেই পথে হাটছেন কুচক্রী একটি মহলকে সঙ্গে করে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে আরো বলেন, আপনি পদত্যাগ করুন। না হলে আপনার পদত্যাগের দাবিতে লাখো যুবকের লাগাতার মানববন্ধন শুরু হবে।
মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক তাসভীরুল হক অনুর যৌথ পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি শাবান মাহমুদ, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুস সাত্তার মাসুদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মুহা: বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, শ্যামল কুমার রায়, যুবলীগ দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগ উত্তর সহসভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মো. জাফর ইকবাল, মো. জলিলুর রহমান, মো. মহিবুর রহমান, সাব্বির আলম লিটু, ইঞ্জি: জাহান এমএ রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।