Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক রমজান আলীর খুঁটির জোর!

| প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার ব্যুরো : কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রমজান আলী মানছেন না শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ। তাঁর স্বেচ্ছাচারিতা ও খুটির জোর এত বেশী যে, সরকারের আদেশ মানতে তিনি যেন বাধ্য নন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আছেন এখনো বহাল তবিয়তে! ঐ বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষিকাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকুরীচ্যুত করা হলে তা বিধি বহির্ভূতভাবে অপসারণ বলে ্উল্লেখ করে ওই দু’জন শিক্ষিকাকে স্ব-স্ব পদে বহাল করার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সুপারিশ করে।
এর প্রেক্ষিতে গত ৬জুন ২০১৭ ইং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত এক নিদের্শে প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর এমপিও বাতিলের ও সুপারিশ করা হয়েছে। ওই আদেশে ‘কক্সবাজার জেলার কেজি এন্ড মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলীর নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত, অমানবিক, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতিহিংসামূলক আচরণের জন্য তার এম পি ও বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়’। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরিদর্শক কাজী নাজিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ২২ জুনের এক অফিসিয়াল নির্দেশে ওই বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষিকা নিলুফার ইয়াসমিন এবং সুজাতা বড়–য়াকে স্ব-স্ব পদে বহাল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। সরকারের এই আদেশ পেয়ে ভূক্তভোগী দু’জন শিক্ষিকা বিগত ০৬/০৭/২০১৭ ইং বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রমজান আলী তাদেরকে স্কুলে গমণে বিভিন্নভাবে বাধা দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি তাদেরকে কোনভাবে স্কুলে আর নেয়া হবেনা বলেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এতে শিক্ষক অভিভাবকদের প্রশ্ন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখানোর মত সাহস ওই বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক রমজান আলী কোথায় পেলেন? তার এত দুঃসাহস ও খুঁটির জোর কোথায়?
অনুসন্ধানে জানা যায়, ইতিপূর্বে তিনি মহেশখালীর কুতুবজোম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মরত থাকাকালীন সময় সভাপতির স্বাক্ষর জ্বাল করে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাত করেছিলেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, যার মামলা নম্বর-সিআর-১৩/১০। তাছাড়াও তিনি তার প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য মেডিকেল অফিসারের স্বাক্ষর জ্বাল করে মিথ্যা ও ভুয়া সার্টিফিকেট সৃজন করে আদালতে দাখিল করার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার মামলা নম্বর-জিআর-৭০/০৪।
তিনি গত তিন বছর ধরে কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর হতে তার মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যালয়টিকে একটি আতংকের প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের অমানবিক অত্যাচারে অন্যান্য শিক্ষকগণও আজ অতিষ্ঠ এবং চাকুরী হারানোর ভয়ে কর্মরত শিক্ষকগণ সদা আতংকিত থাকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী তার ভয়ে তটস্থ বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ