পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতায় থেকে বিচার বিভাগ ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে এভাবে হেয় করলে তার পরিণাম কখনোই শুভ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা এই আত্মঘাতি পথ থেকে সরে আসার জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার ২১ অগাস্টের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, সেই প্রেক্ষাপটে দলের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্ট বিচার বিভাগের বিচারকবৃন্দ এমনকি প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা বিচলিত ও হতবাক। তিনি দেশপ্রিমেক স্বশস্ত্রবাহিনীকে নিয়ে বিদ্রæপাত্মক মন্তব্য করেছেন। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি তার (প্রধানমন্ত্রী) বাকসন্ত্রাস থেকে কোন দায়িত্বশীল সম্মানিত নাগরিক এমনকি সাংবাদিক প্রতিষ্ঠানগুলো রেহাই পাচ্ছে না। তিনি বলেন, স¤প্রতি সংবিধানের বিতর্কিত ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টের দেয়া যুগান্তরকারী রায়ের কারণেই শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতা-মন্ত্রীরা উচ্চ আদালত বিচার বিভাগ সম্মানিত বিচারকবৃন্দ এমনকি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত বিষেদাগার করে বক্তৃতা দেয়া শুরু করেছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা রায়ের কারণে বিচার বিভাগকে টার্গেটে পরিণত করে যে পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন তা দেশ-জাতি ও রাজনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত বলে আমরা মনে করি। মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনদের অপছন্দের রায় হওয়ার কারণে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তার বক্তব্যে প্রধান বিচারপতিকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) করেছেন। এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেশের পরিস্থিতিকে আরো নৈরাজ্যকর করে তুলতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বর্তমান সংসদ ও সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে তারা জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করে না। তবু যেভাবেই হোক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদে আছেন। এমনকি দায়িত্বশীল পদে থেকে তিনি যেভাবে রাষ্টীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে পারস্পরিক সংর্ঘষের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তা আগুন নিয়ে খেলার শামিল। তিনি বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা স্বাতন্ত্র ও মর্যাদার পক্ষে ঘোষণা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় আমাদেরকে আদালতের রায় মেনে চলার পরামর্শ দেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের রাজনৈতিক রঙ্গে রঙ্গিন রায়ে শুধু বিএনপি নয় দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়ও কিছু রায় বিএনপির রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। তবুও আমরা বিচারক ও কোর্টের বিরুদ্ধে এমন আক্রমনাত্মক ভুমিকা নেইনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের রায় পছন্দ না হলে বিচারকদের বিরুদ্ধে লাঠি মিছিল করেছে। সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে বস্তি বসিয়েছে। বিচারকদের এজলাস ভাংচুর করেছে। আর এবার তারা প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ আদালতকে আক্রমনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। বিচার বিভাগের ব্যাপারে তাদের নীতি হচ্ছে বিচার মানি না তাল গাছ আমার। আমরা জনগণকে শাসক গোষ্ঠীর ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান গ্রহণের আহ্বা জানাচ্ছি।
এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাস বাবুল, সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।