পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্থগিত করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন চেম্বার আদালত। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন। ফলে জহিরুল হকের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনে আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এই আদেশের কয়েক ঘণ্টা আগে আইন সচিবের নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইন সচিবের দায়িত্ব পাওয়া জহিরুল হকের ৭ অগাস্ট অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও তার আগের দিন তাকে একই পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। তার ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ-উজ জামান। তার যুক্তি ছিল, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগে সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেয়া হয়নি। এছাড়া আইন সচিব পদে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বাইরের কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া যায় না। আইন সচিব যেহেতু অবসরের বয়সে চলে গছেন, সেহেতু তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসে নেই।
তাছাড়া আপিল বিভাগের এক রায় অনুযায়ী ওই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগেরও কোনো সুযোগ নেই বলে যুক্তি দেয়া হয় রিটে। ওই রিটের ওপর শুনানি করে একটি বেঞ্চ গত ৮ অগাস্ট রুল জারি করে।জহিরুল হকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তার যোগদানপত্র গ্রহণের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষ ওই রুলের জবাব দেয়ার জন্য দুই দফা সময় নেয়ার পর গতকাল আবারও সময়ের আবেদন করলে আদালত নতুন করে সময় না দিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ওই আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেন। রিটকারীপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। আইন সচিবের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেলে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।