Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কালিন্দী বেড়িবাঁধের বøক নদীগর্ভে এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক

সাতক্ষীরা থেকে আবদুল ওয়াজেদ কচি : | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নদী বেষ্টিত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নটির ১৭ কিঃ মিঃ কালিন্দী নদীর ভেড়িবাধে ভাঙন সমস্যায় জর্জরিত। ভাঙন সমস্যা রোধে কোথাও কোথাও স্থায়ী ও অস্থায়ী বাঁধ নির্মান করা হয়েছে।বøক দিয়ে যে সব জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল তার দু একটি জায়গা থেকে বøক নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে এমন তথ্য ও চিত্র পাওয়া গেছে। তবে বøক নদী গর্ভে চলে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে স্থানীয় জনগন বলেন অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ স্থাপন ও দুর্নীতি পরায়ন হয়ে কাজ করার ফসল এটি। এ ধরনের জায়গা হচ্ছে কাঠামারী ও নৈকাটি গ্রাম। এ দু জায়গায় কালিন্দী নদীর ভেড়িবাধের বøক নদী গর্ভে চলে যাওয়ার পাশাপাশি ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ভাঙন আতংকে এলাকাবাসী। ভাঙনে নদীর পানিতে প্লাবিত এলাকায় হাজার হাজার বিঘা চিংড়ী ঘের, ফসলী জমির, গবাদিপশুসহ জনগনের প্রান হানির আশংকা দেখা দেয়। শুধু তাই নয় অতীতে দেখা গেছে ভাঙনে স্থায়ী ফল স্বরুপ শত শত বিঘা কৃষি জমি বাদ দিয়ে ভেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন কৈখালী ইউনিয়নের ভৌগোলিক আয়তন কম হয়ে হয়েছে অন্য দিকে ভিটা বাড়ি কৃষি জমি হারিয়ে কৃষক ও গরীব পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে। উপযুক্ত সময়ে ভেড়িবাঁধ সংস্কার না করা এবং যথা সময়ে ভাঙন রোধের কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন ক্ষতি গ্রস্থের স্বীকার বলে মনে করেন সচেতন মহল। পাশাপাশি কতৃপক্ষের চরম অবহেলা ও উদাসিনতার পরিচয়ও বটে। যথা সময়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নিলে, আর ভাঙন অব্যাহত থাকলে অদুর ভবিষ্যতে সর্ব দক্ষিনের নদী বেষ্টিত সুন্দর বনের উপকন্ঠে অবস্থিত এ ইউনিয়নটি বাংলাদেশের মান চিত্র থেকে হারিয়ে যাবে এমন শংকা সুধী মহলে। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা পানিউন্নয় বোর্ডের কর্মকর্তা ওবায়দুল হক মল্লিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কাঠামারী হুলোর ভাঙন সম্পর্কে আমি জানি। ওখান কার ভেড়িবাধে যে বøক দেয়া হয়েছিল সেটাও ভাঙনে নদীত পড়ছে। আমি দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম আব্দুল মমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন বøক নদী গর্ভে চলে যাওয়ার বিষয়ে আমি জানি না। তদন্তপূর্বক দ্রæত পদক্ষেপ নেবেন বলে এ প্রতিনিধিকে আশ্বাস দেন। প্রকৃতপক্ষে ভেড়িবাঁধের বøক নদী গর্ভে চলে যাওয়া এবং ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কালিন্দী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে কৃষি জমি, চিংড়ীঘের,গবাদিপশুসহ জীবন মানের ক্ষতিগ্রস্থ হবার আগে বøক নদীগর্ভে না যেতে পারে এবং ভেড়িবাধের ভাঙন রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ