বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহে চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানে চাল সরবরাহ না করায় জেলার ৪২৮টি চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আগামী দুই বছর এ সব চালকল থেকে সরকার কোন চাল কিনবে না।
মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সুত্রমতে জেলায় বোরো মৌসুমে দশ হাজার ৬৮৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে মাত্র সতের’শ ২৫ মেট্রিক টন চাল কেনা সম্ভব হয়েছে। বাকী রয়ে গেছে ৮৯৬৩ মেট্রিক টন চাল। সরকারের সাথে জেলার মাত্র ৫৮টি চালকল চাল সরবরাহের চুক্তি করে।
চাল সংগ্রহ না হওয়ার ফলে গত ঈদুল ফিতরে হতদরিদ্রদের চালের পরিবর্তে গম দেওয়া হয়। অন্যদিকে চাল সংকটের অভাবে জিআর প্রকল্পের বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে আনা প্রায় ৩৩ কোটি টাকার চালও ছাড় করা হয়নি। ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় বিশেষ একটি মহল ৮ হাজার ৯৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করিয়ে আনেন। এই বিশেষ বরাদ্দ এখন স্থগিত রয়েছে।
গুদামে পর্যাপ্ত চাল থাকলে গত জুনের আগেই এই নির্দেশনা কর্যাকর হতো বলে সুত্রটি জানায়। সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান মিয়া জানান, অন্যান্য বছরে সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চালকল মালিকেরা চাল সরবরাহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো। অথচ এবার ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে না। তবে মিলের লাইসেন্স রক্ষার জন্য কেউ কেউ চুক্তি করেছে।
তিনি আরো জানান, এবার চালের সংগ্রহ মূল্য ধার্য করা হয়েছিলো প্রতি কেজি ৩৪ টাকা। জেলার কোথাও ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে না। মোটা চালের দামই এখন প্রায় ৫০ টাকা ছুই ছুই। ফলে এ বছর খাদ্য সংগ্রহ অভিযান সফল হচ্ছে না। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জানান, সংগ্রহ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। দেখা যাক কি হয়। তিনি আরো জানান, যে সব চালকল মালিক সরকারের সাথে চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।