Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুন্ডের হাটে দেশি গরুর আধিক্য

| প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সীতাকুÐ সংবাদদাতা : ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে সীতাকুÐের পশুরহাটগুলোতে গবাদিপশু আসতে শুরু করেছে। এখানকার পাহাড় টিলা ও সমতলে কৃষক ও খামারীদের সযতেœ লালিত-পালিত গরুর সংখ্যাই বেশি বাজারে। অন্য এলাকা থেকেও আসছে বিপুল সংখ্যক গরু-ছাগল। ভারত থেকে আসা গরু উঠেছে বাজারে। উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল ও বিভিন্ন এলাকায় আগে ভাগে দানাদার খাদ্যের মাধ্যমে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্টকরণে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন খামারী ও কৃষক। নিয়মিত ৩টি পশুর হাট ছাড়াও এবছর ১০টি পশুর হাট অস্থায়ীভাবে স্থাপন করার কথা রয়েছে বলে উপজেলা প্রসাশন সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর নিকটবর্তী সীতাকুÐের বিভিন্ন পশুর হাট থেকে কোরবানির পশু কিনেন নগরবাসী।
পৌরসভাস্থ ভূঁইয়া পাড়ার নুসরাত ডেইরী এন্ড বীফ ফ্যাটেনিং ফার্মের খামারী মোঃ সাইফুল আজম জানান, উপজেলা পশু সম্পদ অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অবৈধ ওষুধ ছাড়াই সাধারণ দানাদার ও প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবহারে গবাদী পশু হৃষ্টপুষ্টকরণ সম্ভব হয়েছে। ৬ মাস আগে কোরবানির হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশীয় ১৪টি গবাদী পশু কিনেছিলেন। এসব গরু তিনি প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজাকরণ করেছেন। ৫৫ হাজার থেকে সাইজ অনুযায়ী প্রায় ৫ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে তার খামারে। তিনি আশাবাদী এবার ভাল দাম পাবেন। তবে সামনে ভারতীয় গরু বাজারে আসা শুরু করলে দেশীয় গরুর দাম কমে যাবে বলে শঙ্কায় খামারী ও কৃষক পরিবারের।
বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বড় দারোগাহাট কোরবানির গরু বিক্রি করতে আসা টেরিয়াইল গ্রামের মোঃ আবু তাহের জানান, গেল রোজার প্রথমে রাজশাহী জেলা থেকে প্রতিটি ৮০ হাজার করে ১৭টি ষাঁড় এনেছিলেন কোরবানে বিক্রির উদ্দেশ্যে। দেশীয় দানাদার ও কাঁচা ঘাস খাবারের মাধ্যমে গরু হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে। বাজার দর ভাল হলে প্রতিটি গরু ১লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব হবে। তবে ভারতীয় গরু হাটে আসার ভয়ে আগে ভাগে বিক্রির উদ্দেশে হাটে নিয়ে আসছেন তিনি।
এদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের মত সীতাকুÐে ও কোরবানির পশু অবৈধ ওষুধের মাধ্যমে মোটা তাজাকরণ বন্ধে ও পশুর চামড়া সংরক্ষণে উপজেলা প্রাণী সম্পদের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সীতাকুÐে ৪টি ভেটেরিনারী টিম বেশ কিছুদিন ধরে মাঠে কাজ করে চলেছেন। উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ শাহ্্ জালাল মোঃ ইউনুছ জানান, ওষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ বন্ধে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এছাড়া কোরবানির পশুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়ানোর নিয়মাবলী সম্পর্কে ধারণা দেয়া হচ্ছে। কারণ চামড়া একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ