বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুবি সংবাদদাতা : শোক দিবসে ক্লাস নেয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মাত্র তিন দিনের মাথায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভ্ূঁইয়াকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে তার কার্যালয়ে প্রবেশে করতে দেয়নি শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ। গতকাল সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় তাকে বাধা দেয় শিক্ষক নেতারা। এদিকে ঐ শিক্ষকের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে ভিসিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যাহারের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ১২ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে জানাতে বলা হয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা লাগাতারভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
জানা যায়, মাহবুবুল হক ভূঁইয়াকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল ৯টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূটি পালন শুরু করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। এর ২ ঘন্টা পর ভিসি তার কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রশাসনিক ভবনের নীচতলায় তাকে বাধা দেয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা উপাচার্যের কাছে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। তখন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সাথে শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে তুমুল বাক-বিতন্ডা হয়। পরে ভিসি ও শিক্ষক নেতারা দিনভর প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় করিডোরে অবস্থান করেন। এসময় উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো: খলিলুর রহমানকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তিমূলক বাক্য প্রয়োগ এবং শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তেড়ে আসতে দেখা যায়।
দিনভর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাথে আলোচনায় বসেন উপাচার্য। প্রায় ১ ঘন্টা আলোচনা শেষে উপাচর্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা চলছে। আশা করি ইতিবাচক কিছু হবে।’
এদিকে নিজ শিক্ষকের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কেউই ক্লাস ও পরীক্ষায় বসবেন না বলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান। এ বিষয়ে তারা একটি স্মারকলিপি ভিসি বরাবর দিয়েছেন। এতে ঐ শিক্ষককে এক ছাত্রলীগ কর্মীর প্রাণনাশের হুমকির জন্য তার বহিস্কারের দাবিও জানানো হয়।
এদিকে গত ১৭ আগস্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক ভিসি ও প্রক্টরের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরারবর অভিযোগ করেন ঐ শিক্ষক। অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমার দপ্তরে অভিযোগ গিয়েছে, কিন্তু এখনও ওটা হাতে পাইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।