Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদী উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুল হক মন্ডপের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী সদর উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুল হক মন্ডল’র বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিষদের ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ২ নং টেন্ডারের ৩টি প্রকল্পে আংশিক কাজ করে চূড়ান্ত বিল উঠিয়ে ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্প নং ৬৯-হাজীপুর ইউনিয়নের পাতিলবাড়ী ব্রীজ থেকে হাজীপুর পূর্বপাড়া মসজিদ ভায়া রোকন মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় আরসিসি ¯ø্যাব ড্রেনসহ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ বাবদ ৮২ লক্ষ ৫৭ হাজার ২১২ টাকা, প্রকল্প নং ৭০-হাজীপুর ইউনিয়ন পাতিলবাড়ী ব্রীজ থেকে হাজীপুর পূর্বপাড়া মসজিদ ভায়া রোকনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় আরসিসি ¯ø্যাপ ড্রেনসহ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ বাবদ ৭৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ১১৫টাকা, প্রকল্প নং-৭১ হাজীপুর ইউনিয়ন জিউ’র আখড়া হইতে হাজীপুর পূর্বপাড়া মসজিদ ভায়া রোকনের বাড়ী পর্যন্ত আরসিসি ¯ø্যাপসহ ড্রেন ও বিসি রাস্তা মেরামতকরণ বাবদ ৯২ লাখ ১৫ হাজার ৬১০টাকা। এই ৩টি প্রকল্পে প্রকৃত ঠিকাদার কাজ করেনি। ঠিকাদারের নামে কাজ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুল হক মন্ডল এই বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাকে সহযোগিতা করেছেন হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু।
জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ওয়ানপাসেন্ট ও এডিপি’র বরাদ্ধকৃত টাকায় নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ থেকে ৯৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে কমবেশী ১৭ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। এই ৯৮টি প্রকল্পের বেশীরভাগ প্রকল্পেই সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুল হক মন্ডল তৎকালীন ইউএনও মোতাকাব্বির আহমেদের যোগসাজসে বিভিন্ন ঠিকাদারের নামে বে নামে কাজ বরাদ্ধ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন ইউএনও মোতাকাব্বির আহমেদ তাৎক্ষণিকভাবে বদলী হলেও তার সহচর প্রকৌশলী আনিছুল হক মন্ডল ৬ বছর যাবৎ একই জায়গায় থেকে তার দুর্নীতি অভ্যাহত রেখেছেন। চিনিশপুর ও হাজীপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে কমবেশী ১৫টি প্রকল্পে এত নিম্নমানের কাজ হয়েছে যে, নির্মাণের সাথে সাথেই এ কাজগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। গাবতলী এলাকায় কয়েকটি প্রকল্পে ড্রেনের ¯ø্যাব নির্মাণের ২ মাস সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে। প্রকল্পগুলো ড্রেনের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। এসব প্রকল্পে নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। রিসাইক্লিং মেটেরিয়ালস দিয়ে তৈরী লোহা ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুল হক মন্ডল প্রতিটি প্রকল্প থেকে ৫ থেকে ১০ ভাগ হারে ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১ থেকে ৯৮ ক্রমিকের প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। যা তদন্ত করলে বাস্তব চিত্র সামনে এসে যাবে। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আনিছুল হক মন্ডল জানিয়েছেন, আংশিক কাজ হয়েছে। আংশিক বিল দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত বিল দেয়া হয়নি। হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু জানিয়েছেন, এই কাজের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে প্রকৃত ঠিকাদার কাজ করেনি অন্য একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ঠিকাদারের কাজ করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ