পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামল অবৈধ হলে আওয়ামী লীগও অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বৈধ নিবন্ধন করে। এর আগে আওয়ামী লীগ ছিল বাকশাল। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাকশাল থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নামে নিবন্ধন করেছিল। তাই জিয়াউর রহমানের শাসনামল অবৈধ হলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও অবৈধ। জিয়াউর রহমানের আমলের বহুদলীয় গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অবৈধ হতে পারে না। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণের মূল বিষয় থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে ফেরাতে ক্ষমতাসীনরা জিয়াউর রহমানের শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে আনার কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সহজাত কৌশল। মূল বিষয়টা থেকে জনমতকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া। উল্টো-পাল্টা কথা বলে তারা (ক্ষমতাসীন দল) মানুষের দৃষ্টিকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা রায় সম্পর্কে বলেছি, পর্যবেক্ষণে বর্তমান রাজনীতি সম্পর্কে যে কথাগুলো আছে, সে সম্পর্কে বলেছি। আলাচিত ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বাংলাদেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। এই রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, এই রায়ের ফলে প্রমাণ হয়েছে যে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়েছে। বিএনপি নেতাদের মুখে রায়ের প্রশংসার দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জিয়ার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং উড়ে এসে জুড়ে বসার কথাও বলা হয়েছে রায়ে। বিএনপি সেক্ষেত্রে এই বিষয়টিও মেনে নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসন যদি অবৈধ হয়ে থাকে, তা হলে আওয়ামী লীগও অবৈধ। কারণ তার (জিয়া) সরকারের সময় তার বিধিমালা অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছিল। রায় পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে তার নিন্দাও জানান বিএনপি মহাসচিব। রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আনার জন্য আমাদের কোনও ভূমিকা নেই, নির্বাচন কমিশন (ইসি)-এর দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নির্বাচনে নিয়ে আসাটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। সরকার যা বলে, তা করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। সব দলকে একসঙ্গে করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করা কমিশনের কাজ। কিন্তু বর্তমান কমিশন তাতে ব্যর্থ। এই কমিশন দলীয়। এই কমিশনের অধীনে কোনও নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
ইসির সঙ্গে সংলাপের কোনও মূল্য নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সংলাপের ভবিষ্যত কী হবে তিনিই (ইসি) বলেছেন। উনি শুনবেন, কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এটা কোনও সংলাপ না। এ ধরণের কোনও কথা হতে পারে না। এ কারণে বলেছি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষ নয়। তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
বন্যার্তদের পাশে সর্বপ্রথম বিএনপিই দাঁড়িয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, বন্যায় আমরাই প্রথম কাজ শুরু করেছি। জাতীয়ভাবে শুরু করেছি। যতটা সম্ভব করেছি। সরকার কাজ না করে শুধু মুখের কথা বলছে। সরকার দুর্যোগ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থানের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘এই রায়কে নিয়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। বিচার বিভাগের রায় নিয়ে এমন আচরণ আগে আমরা দেখিনি। তারা রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভকে নিজেদের অধীনে আনতে চায়। সবকিছু নিয়ে একদলীয় সরকার কায়েম করতে চায়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সরোয়ার, ইয়াসিন আলী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এস এম জিলানী, নজরুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, উত্তরের ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।