পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ ঝুঁকির মুখে পড়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। ঋণ ঝুঁকিসহ ব্যবস্থাপনার অনিয়মের কারণে সার্বিকভাবে এই ঝুঁকির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে কঠোর তদারকির মধ্যে আনতে ঝুঁঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা হালনাগাদ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স¤প্রতি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সংশোধিত নীতিমালাটি সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। নীতিমালায় উচ্চ ও নিম্ন ঝুঁকি সম্পর্কে আলাদা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে তাদের অর্থ ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ ঠেকাতে ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি গাইড লাইন প্রণয়ন করেছে। ওই গাইড লাইনের আলোকে ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণ করতে হবে। খাত অনুযায়ী ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে গ্রুপভিত্তিক এক্সপোজার, জেলা অনুযায়ী, একক ঋণ ও শীর্ষ ঋণ গ্রহীতাদের ঋণসীমা আলাদা ঘরে উলেখ করতে হবে। নীতিমালায় পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঋণ ঝুঁকি মোকাবেলায় পর্ষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ঋণের পোর্টফলিও তদারকি করবে। প্রত্যেক ব্যাংকের একটি ক্রেডিট রিস্ক কমিটি বা আলাদা সেল থাকবে। কমিটির পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকবে। নীতিমালা অমান্য করে ঋণ বিতরণ করলেই ওই ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তেমনিভাবে ব্যাংকিং খাতের সম্পদ দায় ব্যবস্থাপনা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি নির্ণয়, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষা এবং আইটি খাতের উন্নয়নসহ পৃথক পৃথক গাইড লাইন দেয়া হয়েছে। এসব ঝুঁকি চিহ্নিত করে তা সংশোধন ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি নির্ণয় করে আগাম পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে ব্যাংকগুলোকে পৃথক ঝুঁকিব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন ও ঝুঁকি চিহ্নিত করতে অভিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। এসব নির্দেশনা পরিপালন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিব্যবস্থাপনার ওপর পরিদর্শন করে দেখতে পায় বেশির ভাগ ব্যাংক বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিব্যবস্থাপনা কার্যক্রম উন্নত হয়নি। এতে ব্যাংকগুলোতে বিদ্যমান ঝুঁকি নির্ণয় ও তা নিরসনে ব্যাংকগুলো সক্ষম হচ্ছে না। অনেকগুলো ব্যাংক শুধু দায়সারাভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পৃথক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটগুলোতে দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা নিয়োগ না করে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্বের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কাজ করছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাংকের তথ্যপ্রবাহ আইটিভিত্তিক নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।