বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুন্দরবনের পাশে ও পশুর নদের তীরে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে। শিল্প প্রকল্পের মালিকেরা পশুর নদের সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলো ভরাট করে ফেলছেন। এতে জোয়ারের পানি বাধা পাচ্ছে। এতে পশুর নদের দুই পাশে অস্বাভাবিক ভাঙন দেখা দিচ্ছে। নদের দুই পাশে ২০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বেশ কয়েকটি বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আজ শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও পশুর রিভার ওয়াটার কিপার নামে এক সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেন, ‘সুন্দরবনের পাশে উন্নয়নের নামে মানুষকে নিঃস্ব করা হচ্ছে। এই নিঃস্ব মানুষেরাই শহরে আসছে। বস্তিতে উঠছে। আবার বস্তি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া দেশে এত বিপন্নতা আমরা চাইনি।’
জাতীয় কমিটির গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সরকারদলীয় গুটিকয়েক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর স্বার্থে সুন্দরবনের পাশে এত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে কারখানা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থে জাতীয় সম্পদকে এর মাধ্যমে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো।
জাতীয় কমিটির আরেক সদস্য শরীফ জামিল বলেন, পরিবেশ বিষয়ক জাতীয় কমিটি দেশের পরিবেশ রক্ষার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। অথচ তারাই সুন্দরবনের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টিকারী ৩২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে পশুর নদের তীরে কারখানা করার অনুমোদন দিয়েছে। এটা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। কারণ, সরকার ইউনেস্কোর কাছে অঙ্গীকার করেছে, তারা ২০১৮ সালের মধ্যে সুন্দরবন ও তার আশপাশের এলাকার ওপর কৌশলগত পরিবেশ নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেবে। তার আগে সেখানে কোনো ধরনের স্থাপনা করবে না এবং পশুর নদ খননের আগে পরিবেশগত প্রাক-সমীক্ষা করবে। এগুলো ছাড়াই তারা এখানে শিল্প-কারখানা করার অনুমোদন দিচ্ছে। এটা সুন্দরবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।