পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যায়নি তারা বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রায়ের পর সরকার বিচার বিভাগকে প্রকাশ্যে করায়ত্ত করার চেষ্টা করছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সহায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। এনডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী বিশিষ্ট সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর সরকার বিচার বিভাগকে প্রকাশ্যে করায়ত্ত করার চেষ্টা করছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় যখন আসে, যে কোনো রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে গেলে তারা সংক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলছেন, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার সারাদেশের মানুষকে জানিয়ে জোর করে বিচার বিভাগকে চাপ দিয়ে রায় নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই এখন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকারদলীয় মন্ত্রী, এমপিদের বক্তব্য নজিরবিহীন। তারা যে ভাষায় প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করছে তা অসাংবিধানিক এবং সভ্যতা বিবর্জিত। এ বিষয়ে দেশবাসী শঙ্কিত। সরকার এখন ইচ্ছে করেই সহিংতার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির কাজ করবে না বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আইনে কি আছে সেটা নয় বাস্তবতাকে দেখতে হবে। এদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো রকিব মার্কা নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না। জনগণ করতে দেবে না। সংলাপ ও আলোচনা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।
জাতীয়তাবাদী যুবদলে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন
বিএনপি মহাসচিব গতকাল নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি এ অভিযোগ করে বলেন, সরকার বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না সরকার। বন্যা দুর্গতদের পাশে না দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন একটি সময়, বন্যা হয়েছে, দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল সরকার পাশে দাঁড়াবে। দুর্ভাগ্যজনক যে তারা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়নি, তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অবৈধ ক্ষমতাকে কীভাবে টিকিয়ে রাখবে। সেই চেষ্টায় সরকার গণতান্ত্রিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ‘বিচার বিভাগের ওপর আঘাত’ হানছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
দেশের এই ‘দুঃসময়ে’ বিএনপি দুর্গতদের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রæতি দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে, সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আমি অনুরোধ জানাব, শুধু যুবদল নয়, বিএনপির সবাই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। বন্যা দুর্গত অঞ্চলের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেখানে মানুষ ক্ষুধার্ত, তাদের দাঁড়াবারও জায়গা নেই। আজকে ছবি এসেছে পত্রিকায়, দিনাজপুর এলাকায় মাটিও পাওয়া যাচ্ছে না, সব ডুবে গেছে। গতকাল সিরাজগঞ্জের খবর পেয়েছি, কোনো ত্রাণসামগ্রী সেখানে পৌঁছায়নি। এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’ যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।