পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে সরকার প্রস্তুুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোনী বাতিলের পূনাঙ্গ রায়ের সত্যায়িত কপির জন্য আবেদন করা হয়েছে। রায় ভালোভাবে পড়া হচ্ছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই রিভিউ আবেদন করা হবে। রায়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো অন্যায় নয়। তবে যে ভাষায় আদালত অবমাননা না হয়, সেভাবেই রায়ের বিষয়ে সমালোচনা করা উচিত।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। এসময় সরকারি শিশু পরিবারের ১৫৪ জন অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুর মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
এর আগে গত ১০ অগাস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে রায়ের পর্যবেক্ষণে জাতীয় সংসদসহ বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য ও অপ্রাসঙ্গিক কথা এসেছে জানিয়ে তা এক্সপাঞ্জ’ করার উদ্যোগ নেয়া হবে বললেও তখন রিভিউয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি মন্ত্রী।
এবার রিভিউ আবেদনে সেইসব ‘অগ্রহণযোগ্য ও অপ্রাসঙ্গিক কথা’র বিষয়ে আলোকপাত করা হবে বলে জানান আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা আছে। রিভিউয়ে সেগুলোও আসবে। সরকার তার জন্য তৈরি হচ্ছে। প্রকাশিত রায় এখন পাবলিক ডকুমেন্ট। রায়ের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় এবং আপত্তিকর যে কথাগুলো উঠে এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দেখানো স্বাভাবিক। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ উগ্র কোন প্রতিক্রিয়া না দেখায় বা প্রতিক্রিয়ার কোনো ভাষায় আদালত অবমাননা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এসব ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখানো অন্যায় নয়।
আইন মন্ত্রী বলেন, সরকার রায়ের সঙ্গে হয়তো একমত পোষণ করে না কিন্তু রায়কে শ্রদ্ধা করে। এখন অনেকেই বলছেন তদন্তের ত্রুটির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত রাঘব বোয়ালরা ছুটে গেছে- উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা কিন্তু ১৯৭৫ সালে বা আশির দশকে কিংবা নব্বয়ের দশকের প্রথম দিকে শুরু হয় নাই। শুরু হয়েছে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সাথে সম্পৃক্ত এবং তারাই এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের এভিডেন্স লুকানোর এবং সরানোর কাজটা করেছেন। সুতরাং ২১ বছর পর যে তদন্ত হয়েছে তা বাস্তব ভিত্তিক ছিল।
এসময় সময় আইন সচিব আবু সালেহ্ শেখ মো. জহিরুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো.মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা-সহ আইন মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি গত ১ অগাস্ট প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
এর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় গত ১০ অগাস্টের সংবাদ সম্মেলন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, মামলার ‘ফ্যাক্ট অব ইস্যুর’ সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন ‘অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা’ প্রধান বিচারপতি তার রায়ে বলেছেন। রায়ে জাতীয় সংসদ সম্পর্কে কটূক্তির পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয় নাই- এমন বক্তব্যকে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে অস্বীকার করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।