Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ডিউটি না করেই ৩২ বছর বেতন ভোগ

| প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃ ছাতকে ৩২ বছর ডিউটি না করেই বেতন-ভাতাসহ সরকারের সূযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন সওজের কর্মচারি সাজ্জাদ হোসেন মনির। এর সাথে তার বিরুদ্ধে রয়েছে সওজের ভূমি জবর-দখল করে দোকান নির্মান, বালু, পাথর ও গাছ চুরিসহ সরকারি সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ। এ ব্যাপারে ছাতক সওজের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. রমজান আলী বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, সড়ক উপ-বিভাগের রানীগঞ্জ ফেরিঘাটে কর্মরত ফেরিচালক আবুল বশরের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন মনির ১৯৮৫ সালে ছাতক সওজ অফিসে ফেরিচালক হিসেবে যোগদান করে। এরপর রহস্যজনক কারনে দীর্ঘ ৩২ বছর সে অফিস ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে। এছাড়া চাকুরি নেয়ার পর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে সওজের অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ভূমি লিজের নামে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এভাবে সওজ বিভাগের গাছ, ইট, পাথর, বালু ও পূরাতন মালামাল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শহরের লাফার্জ ঘাটে সওজের ভূমি জবর-দখল করে অবৈধভাবে ‘জাহিদ ষ্টোর’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক দোকান নির্মাণ করে স্থানীয় লোকজনের কাছে ভাড়া দিয়েছে। তার অবৈধভাবে অর্জিত টাকায় গড়ে তোলা হয়েছে শহরের বাগবাড়ি এলাকায় আলীশান বাড়ি। প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে সাজ্জাদ হোসেন মনির বীরদর্পে এসব অপকর্ম চালিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অবশেষে ছাতক সওজ উপ-বিভাগের স্মারক নং ১৬, তাং ১৬.০৮.২০১৭ মূলে বালু, ইট, পাথর চুরি ও সরকারি ভূমির ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্প্রসানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে ছাতক থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ছাতক থানার এসআই সুহেল রানা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাতক সওজের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, সে সরকারের পুরাতন মালামালসহ ইট, পাথর, বালু ও মূল্যবান গাছ চুরির সাথে জড়িত। সে দীর্ঘদিন থেকে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান। সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান, মনির নামের কর্মচারি দীর্ঘদিন থেকে কাজ না করেই বেতন নিচ্ছে বলে এর আগে কেউ তাদের নজরে আনেনি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি আন্তরিক বলেও জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ