Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে বাঁধের ভাঙন রোধে কাজ করছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধ

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৭, ৫:০৭ পিএম

আল্লাহ ছাড়া আমাগোরে দেখার কেউ নাই। বানের পানি ধরে রাখতি আমরা হগলে মিলা কাজ করতাছি। তাও যদি শেষ রক্ষে হয়। আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চরগাবসারা থেকে এসে নদী তীরের বাঁধে আশ্রয় নেওয়া সত্তুরোর্ধ বৃদ্ধ রহমান মিয়া।
সরেজমিনে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর এলাকায় যমুনা নদীর পানি বাঁধ চুইয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। আর সেই পানি ঠেকাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে নারী, শিশু, বৃদ্ধ সবাই।

শরিফ তালুকদার নামে এক ব্যক্তি জানালেন, বঙ্গবন্ধু-সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জিও ব্যাগ দিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে মাটি সংগ্রহ করে তা দিয়ে বাঁধের লিকেজ বন্ধ করার চেষ্টা করছি।
পাঁচ বছরের শিশু হৃদয় বলে, পানির হাত থেকে বাঁচতে আমরা রাস্তায় মাটি ফেলছি। একই রকম কথা বলে, শিশু নাবির, রাসেলসহ আরও অনেকে। এসব শিশুরাও বড়দের সাথে জিও ব্যাগে মাটি ভরাটের কাজ করছে।

বন্যার পানির কারণে যমুনা নদীর মধ্যবর্তী চরাঞ্চল বাসুদেবপুর, রুহুলীপাড়া, চন্ডীপুর, গাবসারা, শুশুয়া, অর্জুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা দরিদ্র শ্রেণীর মানুষগুলো এসে আশ্রয় নিয়েছে নদী তীরের উচু বাঁধ,স্কুলসহ আশে-পাশের উচু পরিত্যক্ত জমিতে। পলিথিন দিয়ে মোড়ানো একটি খুপড়ির ভেতর গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের। বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে অবর্ণনীয় অসহায় জীবন-যাপন করছেন শতশত পরিবারগুলো।

কপিল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, মাঝে মধ্যে শুকনো খাবারের যে ত্রাণ আসে তা দিয়ে দু’দিন চলে না। এভাবে কতদিন বেঁচে থাকা যায় ?
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, ২/১ দিনের মধ্যে আমরা দুই হাজার পরিবারের জন্য চাল, ডাল, লবণ, চিরা, চিনি, দিয়াশলাই, মোমবাতিসহ আরও কিছু উপকরণ সরবরাহ করবো। আমাদের এই ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। টাঙ্গাইল অংশে গতকালের চেয়ে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ১০৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ