Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ৫২ কিলোমিটারে ৪৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিকের প্রাণহানি

বালাগঞ্জ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৭, ১০:৪৩ এএম

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি থেকে ওসমানীনগর উপজেলা- সিলেট হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খানা খন্দকের কারণে রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অঞ্চলের মহাসড়কের দু’পাশ ঘেষে ভাসমান দোকানের দখল এবং অযোগ্য চালকের কারণেও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে পথযাত্রীদের। সচেতন মহল এসব ঘটনাকে সড়ক দুর্ঘটনাকে না বলে সড়ক হত্যা বলে মন্তব্য করেন।

জানা যায়, মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি থেকে পানিউমদা বাজার এবং শেরপুর থেকে সিলেট হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এক বছর আট মাসে ৪৩টি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ গেছে অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ পথচারীদের । প্রতিদিন আতংক নিয়ে যান চলাচল করছেন এ অঞ্চলের যাত্রীরা। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানা খন্দক আর নিষিদ্ধ অটোরিক্সা চলাচল, ভাংগা বা গর্ত অংশ ছেড়ে গাড়ি ভালো অংশ দিয়ে চলতে গিয়ে অভারটেকিং করে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন না মেনে প্রতিযোগি মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই ঝরছে তাজা প্রাণ। অনেকেই হচ্ছে পঙ্গু। যার অধিকাংশই হচ্ছেন পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বর্তমানে বাড়তে বাড়তে এটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সঈদপুর বাজার, দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট নতুন বাজার,ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুর, কাগজপুর ব্রিজ, বুরুঙ্গা রাস্তার মুখ, উনিশ মাইল, প্রথমপাশা, ব্রাম্মণগ্রাম, গোয়ালাবাজার, ওসমানীণগর থানার সামন, তাজপুর, ব্রাম্মণশাসন মোড়, দয়ামীর, নাজিরবাজার, কুরুয়া ও রশিদপুরসহ রয়েছে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন সুত্রে থেকে জানা যায়, এসব এলাকায় গত ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি, ওসমানীনগর ও সিলেট সদর পর্যন্ত প্রায় ৫২কিলোমিটারে ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে অর্ধশতাধিক মানুষের।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, খানা-খান্দের কারণেই দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা-সিলেট মহা সড়ক গত ১০ জুন থেকে এলজিইডি কর্তৃক স্থানীয় ঠিকাদার দিয়ে শুরু হয় সংস্কার কাজ । কিন্তু সংস্কার করা হলেও কিছুদিন পর ঘুরে ফিরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের অবস্থা হয়ে যায় আগের মতোই । এতে করে স্থানীয় লোকজন এবং যাত্রী সাধারণদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত জুন মাসের শেষের ১০ দিনে নবীগঞ্জের সৈয়দপুর থেকে দেবপাড়া পর্যন্ত তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় নববধূ মা -ছেলেসহ নিহত হয়েছেন ৭জন আহত হয়েছেন ১৫জন । গত ৬জুন মহাসড়কের দয়ামীরে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন চালক চান মিয়া। ৭ জুন বুধবার ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের দত্তগ্রাম নামক স্থানে ঢাকা থেকে সিলেটগামী শ্যামলী পরিবহন অভারটেকিং করতে গিয়ে চাপা দেয় অটোরিকশাকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ২ জন এবং পরে মারা যান আরো ৩ জন। ৮ জুন বৃহস্পতিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গজিয়া নামক স্থানে হবিগঞ্জগামী হবিগঞ্জ বিরতিহীন বাস চাপা দিলে শিশু নয়ন মারা যায়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ