পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমাদের মধ্যেই মীরজাফরেরা আছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আজ বাঙালির একটা জিনিস মনে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কিন্তু লাহোরে মারতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুকে ঢাকাতেই মারা হয়েছে। আপনাদেরকে কেন এটা বলছি- সেটার কারণ হচ্ছে, আমাদের মধ্যেই মীরজাফরেরা আছে। তিনি আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের নেপথ্যে ছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করার চিন্তা করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিবন্ধন পরিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে ঢাকায় হত্যা করে নিজেদের উপর যে কলঙ্ক লেপন করেছি, সেই কলঙ্ক কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দিয়ে শেষ হয় নাই। আমরা বিচার করেছি এবং পাশাপাশি দেখেছি যে সংবিধান দিয়ে বঙ্গবন্ধু হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করে গেছেন, সেই সুপ্রিম কোর্টের অনেক বিচারপতি তার হত্যার বিচার করতে বিব্রতবোধ করেছেন। আমাদের জন্য এগুলো লজ্জার। তিনি বলেন, আজকে আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এই কলঙ্ক মোচন হবে এভাবে যদি আমরা সব চেষ্টা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারি।
যিনি বলেছেন তার কথা না হয় নাই বললাম। কিন্তু সত্য এটাই ২১ বছর কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে কি হয়েছিল? যাতে বিচার না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, যারা এই মামলা তদন্ত করেছিলেন তারা ২১ বছর পর যে বাস্তবতা পেয়েছিলেন তার উপরই কিন্তু তদন্ত করেছিলেন। ২১ বছর আগে যদি মামলা হত যারা পরিকল্পনাকারী ছিলেন, যারা পেছনে ছিলেন তাদের ধরা যেত। আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর তো অনেক সরকারই ছিল তারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সটা তুলে কেন এই বিচারটা করলেন না। তাহলে আজ এক প্রশ্ন উঠত না যে হত্যাকান্ডের পেছনে যারা আছেন তাদের বিচার হয়নি।
আইন সচিব আবু সালেহ্ শেখ মো. জহিরুল হক এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসরিন বেগম ও মো. ইসরাইল হোসেন বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন। সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার সঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।