পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে সচেতন ও জাগ্রত করেছিলেন, ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছতে তিনি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শোষণ-নিপীড়নমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত ’সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে’ তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা। আর এ শ্রেষ্ঠ অধ্যায়ের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সমার্থক। তিনি ছিলেন অতুলনীয় সাহসী। বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের প্রতি ছিল তাঁর সীমাহীন দরদ ও ভালবাসা। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তাঁর আদর্শকে শেষ করে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য। বাংলাদেশ যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তারপর দেশকে ২১ বছর পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। সামরিক শাসকরা আমাদের হাজার বছর মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিবেদিতপ্রাণ হয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, লক্ষ্য ও স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তোলা। তার আদর্শ বাস্তবায়িত হলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।