Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খানাখন্দ

বৃষ্টি আর গর্তের সাথে পেরে উঠছে না সড়ক কর্মীরা

| প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : লাগাতার বর্ষনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই অংশের অনেক স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। বার বার সংস্কার করার পর পর গর্ত হয়ে লাঘব হচ্ছে না ভোগান্তি। এখনো যানজট ভোগান্তি না হলে ও গর্ত আরো বেড়ে গেলে যানজট সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা ও রয়েছে। তবে ফোর লেন বিভাগ বলছে বৃষ্টিপাতের মধ্যেই আমরা সংস্কার কাজ অব্যাহত রেখেছি, বৃষ্টি কমলেই দ্রæত সংস্কার শেষ করা সম্ভব হবে। সরেজমিনে ও দেখা যায়, সংস্কার চলছে, বৃষ্টি আর গর্তের সাথে পেরে উঠছে না সড়ক সংস্কার কর্মীরা। এবারের বর্ষা মওসুমে আনুপাতিক ভারি বর্ষনে দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও এর প্রভাব দৃশ্যমান। সিটি গেট থেকে মিরসরাই অংশে অনেক স্থানেই পাথর-পিচ উঠে গিয়ে গর্ত অপ্রতিরোধ্য রুপ লাভ করে চলেছে। ধূমঘাট থেকে চট্টগ্রামের সিটিগেট পর্যন্ত চট্টগ্রাম অংশ একাধিকবার সংস্কার করা হলেও বৃষ্টিপাত আর গর্তের সাথেই যেন পেরে উঠছে না সড়ক সংস্কার কর্মীরা। সংস্কার শেষ করলেই কয়েকদিন বৃষ্টিপাত চললেই সংস্কাররের স্থানগুলোর ঢালাই উঠে গিয়ে আরো বড় বড় গর্তের সৃষ্টি করে। কোথাও কোথাও হয় নতুন নতুন গর্ত। আবার কোন কোন স্থানে পুরো রাস্তা জুড়েই ঢালাই উঠে যায়। এতে অনেক স্থানে দ্রæতগামী যানবাহন গুলোর বাড়ছে দুর্ঘটনা প্রবণতা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের চৈতন্যেরহাট বাইপাস থেকে বারইয়ারহাটের চিনকির আস্তানা এলাকা পর্যন্ত সড়কে গর্তের সংখ্যা অনেক বেশী। গত ১৩ আগষ্ট রোববার পর্যন্ত দেখা যায়, পনের দিন ধরে এখানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখি লেন বন্ধ করে সড়ক কেটে আবার ঢালাই দিচ্ছে বিশাল অংশ জুড়ে। অপর লেনের অবস্থা ও সুবিধাজনক নয়। এক লেন শেষ হলে হয়তো অপর লেনের কাজ করা হবে। সোনাপাহাড়, মস্তাননগর, দুর্গাপুর, মিঠাছরা এলাকার বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্তে ভরে গেছে। সোনাপাহাড় এলাকা অতিক্রমকালে ট্রাকচালক নুরুল ইসলাম বলেন, অনেক স্থানে গর্ত ও কোথাও উঁচু নিচু ডিবি আগে থেকে বোঝা ও যায় না। ধপাস করে উঠলে বোঝা যায় চাকা উপরে কিংবা নিচে নেমেছে। ‘বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে থাকে। পানি সরে গেলে বড় বড় গর্ত দেখা দেয়।
জনৈক বাসযাত্রী চৌধুরী বোরহান উদ্দিন বলেন, এবারের বর্ষায় প্রায়ই সড়ক মেরামত করতে দেখেছি, কিন্তু এরপর ও বৃষ্টি হলে আবার গর্তে ভরে যায়। তবু ও পূর্বের চেয়ে গর্ত এখন অনেক কম বলে আশ্বস্থ তিনি। এ বিষয়ে জানতে চার লেন প্রকল্পের সাত নম্বর প্যাকেজে নিয়োজিত মিরসরাই এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রবিউল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করে ও পাওয়া যায়নি। ফোর লেন ব্যবস্থাপক ও সওজ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্র্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যেই আমরা মেরামত অব্যাহত রেখেছি। শ্রমিকরা এখন বৃষ্টিপাত নিয়েই সড়কে অবস্থান করে। বৃষ্টি থামলেই সংস্কার করে, এরপর ও বৃষ্টি আর গর্তের সাথে পেরে উঠে না। তাই পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন নিরবচ্ছিন্ন ফোরলেন এর জন্য বৃষ্টিপাত পুরোপুরি বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবু ও আমরা কোন ভাবে যেন যাত্রীদের কষ্ট করতে না হয় সেই চেষ্টা ও ব্যবস্থা অব্যাহত রাখছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ