রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে তালেপুরের সরকারী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির খুবই বেহাল অবস্থার কারণে এই কেন্দ্রের সকল প্রকার চিকিৎসা সেবা প্রায় এখন ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এতে করে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আসা গ্রামের সাধারণ মানুষেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। একদিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ঔষধের অভাব অন্যদিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সামনে স্থায়ী পানিবদ্ধতার কারনেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বেহাল অবস্থায় পতিত হয়েছে। প্রায় ২০ বছর আগে গ্রামের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য কলাতিয়া ইউনিয়নের তালেপুর গ্রামে সরকারিভাবে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এক সময় খাড়াকান্দি, নতুনচর খাড়াকান্দি, নীলট্যাক, বেলনা, কুঠিবাড়ি, রসুলপুর,মরাগনা, নাগডাসুর, ছোট বেলনা, জৈনপুর, ছাতিরচরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার হাজার সাধারন মানুষেরা এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসতো। কিন্তু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বর্তমান বেহাল জরাজীর্ন অবস্থায় থাকার কারনে এখন বেশি মানুষ চিকিৎসা নিতে আর আসে না। একটু বৃষ্টি হলেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সামনে হাটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। গত ২ মাস যাবত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সামনে পানি জমে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে । এতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াত করতে মানুষের অনেক অসুবিধা হ্েচ্ছ। বিশেষ করে মাহিলা ও শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজা, জানালা ভাঙ্গা। এগুলো খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় ছাদ খসে খসে পড়ছে। যে কোন সময় ছাদ খসে কোন রোগির উপর পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখানে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য ১ জন এমবিবিএস ডাক্তার, ১জন সহাকারী ডাক্তার ও ১জন ফার্মাসিস্ট দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিদিন এখানে ১০০ থেকে ১৫০জন রোগি আসেন চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য। কিন্তু প্রয়োজনীয় ঔষধপত্রের যথেষ্ট সরবরাহ না থাকার কারনে বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসা না নিয়েই এখান থেকে ফেরত যাচ্ছেন। তালেপুর গ্রামের আহসান উল্লাহ টিপু বলেন, একসময়ে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চোখের অপারেশন, লাইগেশন করা হতো। এখন তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। অপারেশন করার কোন যন্ত্রপাতি এখানে নেই। প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র সরবরাহ করলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সচল হয়ে যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসি জানান, এখানে দ্বায়িত্বরত ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মকর্তারাও ঠিকমত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না এবং রোগিদের চিকিৎসা সেবা দেন না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে একটি কোয়ার্টার। পরিবেশ ভাল না থাকার কারনে সেখানেও কেউ থাকেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।