Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কখন কোথায় ভাঙবে বাঁধ কারা পাবে সেই বাঁধের মেরামতের কাজ?

| প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু (সারিয়াকান্দি/ধুনট) থেকে ফিরে : বগুড়ার বন্যা কবলিত ২ উপজেলা সারিয়াকান্দি ও ধুনটের প্রায় লক্ষাধিক বন্যা উপদ্রæত মানুষের সব দুর্দশার সব খবর ছাপিয়ে কারা যেন একটি খবরের অপেক্ষায় আছে কখন বাঁধ ভাঙবে, কোথায় বাঁধ ভাঙবে, কারা পাবে সেই ভাঙা বাঁধের জরুরী মেরামতির কাজ?
প্রায় দেড় মাস আগে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বগুড়ায় জেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত একটি সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ওই দুই উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেন ভাঙতে পারে, তার সম্ভাব্য কারণের মধ্যে ‘র‌্যাট হোল’ (ইঁদুরের গর্ত) তত্ত¡ উপস্থাপন করে। তারা বলেন, পানি বাড়লে বাঁধে ‘ইঁদুরের গর্ত’ বাঁধ ভেঙে যাবার কারণ হতে পারে। তবে ‘র‌্যাট হোল’ তত্ত¡টি ওই সভায় কেউ তেমন গা করেনি। চলতি বর্ষা মওসুমে একদফা বন্যা সৃষ্টি ও বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বর্তমানে ২য় দফায় বন্যা চলছে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যখন এই রিপোর্ট লেখা হচ্ছে, তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিকেলে যেখানে যমুনায় পানি বিপদসীমার ১২৬ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল সন্ধ্যার পর তা ১ সে.মি. কমেছে। তবে এই হ্রাস/বৃদ্ধি শীঘ্রই পানি কমার বা নদীতে ভাটার টানের লক্ষণ নাও হতে পারে।
২য় দফায় বন্যা শুরুর পর থেকেই মহল বিশেষ থেকে প্রচার চলছে, যমুনায় পানি বিপদসীমার ৮৮ সে.মি. ওপর দিয়ে গেলেই সারিয়াকান্দির কয়েকটি পয়েন্ট থেকে বিশেষ ভাবে ধুনটের ভান্ডার বাড়ি, শিমুল বাড়ি, কৈয়া গাড়ি, বনিয়াজান , চুনিয়াপাড়া পয়েন্টে ইঁদুরের গর্তের কারণে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। বিশেষ করে গত সোমবার রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে বানিয়াজান/শিমুল বাড়ি পয়েন্টে এমনভাবে পানি চোঁয়াচ্ছে রাতের শেষ ভাগে বাঁধ ভেঙেই যাবে। বাঁধ ভাঙার পরে সে ছবি মিডিয়ায় প্রচারের জন্য রেডি ছিল ক্যামেরা। কিন্তু কোন ভাবেই এই খবরটি বগুড়ার পুলিশ সুপারের কানে পৌঁছাবার পরে তিনি সন্দিগ্ধ পয়েন্ট বিশেষ পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করেন। ফলে বুধবার সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বাঁধ আর ভাঙেনি। সে কারনেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের বিশেষ প্রহরার কারণেই কি ইঁদুরের দল গর্ত তৈরী বন্ধ রেখেছে?
বগুড়ার পুলিশ সুপার বলেছেন, শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রহরা অব্যাহত থাকবে। এলাকাবাসী অবশ্য (বিশেষ করে এলাকার কিশোর/বালক/তরুণরা) স্ব উদ্যোগে ভাঙনের সম্ভাব্য পয়েন্টগুলোতে পাউবো কর্মীদের সাথে কাজ করছে বলে দেখা গেছে। এখনও বাঁধ না ভাঙার এটাও অন্যতম কারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ