Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেঁয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে ডিমের মূল্য

৪ দিনে হালি প্রতি ডিমের মূল্য বেড়েছে ৪ টাকা

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : পিঁয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে অত্যাবশকীয় খাবার মুরগীর ডিম। গত ৪ দিনে হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। বর্তমানে এক হালি ডিম ২৬ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা এক হালি ডিম ৩৬ টাকা দরেও বিক্রি করছে।
এর আগে গত এক মাসে ডিমের দাম বেড়েছে কুড়ি প্রতি ৩০ টাকা। ডিমের এই মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বলে জানিয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। তবে হাঁসের ডিমের বাজারে স্থিতাবস্তা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিম বিক্রেতারা। বর্তমানে এক কুড়ি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। পিঁয়াজ, মাছ, মাংস, শাকসব্জী ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে হঠাৎ ডিমের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাসের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। জেলা প্রাণি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ডিমের চাহিদা আগের চেয়ে বহুগুন বেড়ে গেছে। আগের ডিমের চাহিদা ছিল মাথা পিছু সপ্তাহে ৪টি। বর্তমানে মাথা পিছু ১ টি ডিমের চাহিদা নিরুপন করা হয়েছে। তবে ডিমের উৎপাদনও বেড়েছে ব্যাপক হারে। নরসিংদীসহ সারা দেশেই ডিমের খামার বেড়েছে। নরসিংদী জেলায় প্রতিদিন ২৪ লক্ষ ডিমের চাহিদা রয়েছে। দেশে ডিমের চাহিদা হচ্ছে ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার। ডিমের এই চাহিদা মিটানো হয় দেশে উৎপাদিত ডিম দিয়ে। এখন বিদেশ থেকে ডিম আমদানী করা হয় না।
অব্যাহতভাবে ডিমের মূল্য বাড়াতে বাড়াতে ১০ টাকা হালি থেকে ডিমের মূল্য দাঁড়িয়েছে এখন ৩০ টাকা হালি। খামারীদের বক্তব্য হচ্ছে লেয়ার মুরগীর বাচ্চা ও মুরগীর খাবারের মুল্য বৃদ্ধির কারণে তারা ডিমের মুল্য বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সচেতন ক্রেতারা বলছে এরপরও ডিমের উৎপাদন মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন ব্যবসা করছে খামারীরা। তারা যখন তখনই ডিমের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা জানিয়েছে, ডিমের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ডিমের ব্যবসার মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমের মূল্য বারবার বেড়ে চলছে। ডিমের উৎপাদক ও ভোক্তাদের মধ্যে সরাসরি এখন আর কোন সম্পর্ক নেই। খামার মালিকরা ডিম বিক্রি করে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কাছে। তারা একটি অংশ লাভ করে পাইকারী বাজারে সরবরাহ করে। পাইকারী বিক্রেতারা আরেকটি অংশ লাভ করে বিক্রি করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। খুচরা বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমত লাভ করে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। বর্তমানে ডিমের মূল্য বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। এ ব্যাপারে ডিম ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাছ, শাক-সবজজি, পিঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ডিমের উপর চাপ পড়েছে বেশী। যার ফলে ডিমের মূল্য বেড়ে গেছে কয়েকগুন। তবে বাজারে ডিমের আমদানী ততটা কমেনি বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ডিমের প্রচুর আমদানী হচ্ছে, এরপরও ডিমের দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কারসাজী। ডিমের বাজারের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সচেতন লোকজন বলছেন, ডিমের বাজারের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। সরকার যদি ডিমের উৎপাদন খরচ যাচাই করে ডিম বিক্রির একটি দর নির্ধারণ করে দিতো তবে খামারীরা যখন তখন ডিমের মুল্য বৃদ্ধি পেতে সাহস পেতো না। এখনই যদি সরকার ডিমের বাজারে হস্তক্ষেপ না করে তবে ভবিষ্যতে একটি ডিমের মূল্য ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাড়াবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেঁয়াজ

১৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ