বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ৭০০৯নং কক্ষ হতে গত রোববার চারটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে হল প্রশাসন। উদ্ধারকৃত এসব অস্ত্র গতকাল শিক্ষকরা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন এবং তা নীলক্ষেত পুলিশ ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর সাহেব আলীর হেফাজতে হস্তান্তর করেন। ঐ রুমটি ছাত্রলীগের উপ-মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আরিফ শেখের রুম। তার ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার কারনে সে হলের বাহিরে অবস্থান করাকালীন তার ঐ কক্ষে ইংলিশ স্পিকার্স ফর আদার ল্যাংগুয়েজ বিভাগ এবং ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের দুই জন ছাত্রকে অবৈধ ভাবে স্থান দিয়েছিল। হলের আবাসিক শিক্ষকরা ঐ কক্ষ পরিদর্শনে গেলে একটি বক্স দেখে তা সন্দেহ হওয়ায় তাদের খুলে দেখাতে বললে পরে দেখা যায় ঐ বক্সে অস্ত্র রয়েছে। ঐ দুই ছাত্র আরিফ শেখের সাথে রাজনীতি করতো বলেও জানা যায়। এখন তারা হলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদারের অনুসারী বলে তারা স্বীকার করে। ঐ কক্ষের আরেক আবাসিক ছাত্র ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি খোরশেদ এর স্বীকারোক্তীতে জানা যায় ঐ অস্ত্রগুলো আরিফ শেখ রুমে অবস্থান কালীন সময় থেকেই ঐ কক্ষে ছিল, এবং সে সময় তাকে একটি ছোট পিস্তল ও বহন করতে দেখা যেত।
অপরদিকে শোক দিবসের পোস্টার ছিড়ার কারনে হল প্রশাসন ও হল ছাত্রলীগ যৌথ ভাবে হলের ১১ জন আবাসিক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে। গতকাল সকালে হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এদের প্রত্যেককে সনাক্ত করা হয়। সনাক্ত করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদার সহ হলের আবাসিক শিক্ষকগন ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর সাহেব আলী। এসময় তাদের কাছ থেকে ১১টি এন্ড্রয়েট ফোন, দুটি ল্যাপটপ এবং একটি ডেক্সটপ ও জব্দ করা হয়। যা হল কর্তৃপক্ষ তদন্তের স্বার্থে চেক করবে বলে জানায়। এগুলো বর্তমানে হল কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আছে।
আটককৃত ছাত্ররা হলেন-ব্যাংকিং বিভাগের আসিফ হোসেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের রিয়াজ উদ্দিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আজিম উদ্দীন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মোকসেদুল আলম ও এহসান আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শাহীনুজ্জামান, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের ওবাইদুল হক ভুইয়া, পালি ও বুদ্ধিস্ট বিভাগের মনির হোসেন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আরাফাত ইসলাম এবং দর্শন বিভাগের বায়েজিদ ইসলাম।
ঘটনা প্রসঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকদের হল প্রাধ্যক্ষ বলেন পোস্টার ছেড়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও একটি অনলাইনে নিউজ হওয়ায় আমি এই পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে কেউ বলতে না পারে আমি আমার হলে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রশ্রয় দেই। আমি তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি বাকিটা পুলিশ দেখবে। এ বিষয়ে এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন হল প্রাধ্যক্ষ এই সামান্য বিষয় নিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে এমনটি করেছে। সামান্য কারনে ছাত্রলীগের নেতাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত হয়নি
এদিকে আরো দেখা যায় হলের পোস্টার লাগানোর জন্য নির্ধারিত বোর্ডে ছাত্রলীগের লাগানো শোক দিবসের পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ঢেকে দিয়ে হল কর্তৃপক্ষের দুটি বিজ্ঞপ্তির লিফলেট সাটানো হয়েছে।
এ নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিউল আলম ভ‚ঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম হওয়ার কথা না। তখন তাকে ছবি সহ প্রমাণ আছে জানালে তিনি বলেন তিনি খোজ নিয়ে দেখবেন। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে এ কাজ করে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।