বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ছাতকের গোয়ালগাঁও এলাকায় ৩টি পাহাড়ি নদীর সংযোগস্থল ত্রিমোহনা অতিক্রমে কার্গো, বাল্কহেড ও পাথরবাহি বড় নৌকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দু’উপজেলার ব্যবসায়িদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার রাতে শহরের আল-মতিন রেষ্ট হাউজে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাথর ব্যবসায়িদের উদ্যোগে সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাতক পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই আজাদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, ছাতক পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সাবেক সভাপতি হাজি আবরু মিয়া তালুকদার ও হাজি ইছহাক আলী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান হাজি আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এড. সূফি আলম সুহেল, সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি হাজি আব্দুল জলিল, ছাতক পাথর ব্যবসায়ি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছু মিয়া, ছাতক শাহপরান ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি এবাদুর রহমান প্রমূখ।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব আলী- কালা মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ক্রাশার মিল মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ডা. আব্দুন নূর, কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম, কোষাধ্যক্ষ হাজি আবুল হোসেন, সাবেক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানী কারক গ্রæপের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টুসহ দু’উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ২০১০সালে সিলেট জেলা প্রশাসকের সাথে সার্কিট হাউজে সুনামগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের উপস্থিতিতে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের পাথর ব্যবসায়িদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় কার্গো, বাল্কহেড ও বড় নৌকা লোডির্ংয়ের ক্ষেত্রে ছাতকের ইসলামপুর ইউপির গোয়ালগাঁওয়ের ত্রিমোহনাকে সীমারেখা ধরা হয়।
উক্ত সীমা রেখার নীচে (নদীর ভাটায়) পাথর রেখে কার্গো, বাল্কহেড ও বড় নৌকা (৩ হাজার ঘনফুট পর্যন্ত) লোডিং করার সিদ্ধান্ত হয়। জলযানগুলো ত্রিমোহনার এ সীমারেখা অতিক্রম করে নদীর উজানে যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কতিপয় ব্যবসায়ি এসীমারেখা অতিক্রম করে বাল্কহেড উপর থেকে লোড করায় ছাতকের পাথর ব্যবসায় রেইটে (মূল্য) পার্থক্য দেখা দেয়। এতে হাজার হাজার নৌকা মালিক লাখ লাখ পাথর শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। সভায় এ ব্যাপারে দু’উপজেলার পাথর ব্যবসায়িও শ্রমিকদের বিষয় বিবেচনা করে চার হাজার ঘনফুটের অধিক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নৌকাগুলো সীমারেখা অতিক্রম না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।