Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বৈধ-অবৈধ পথে আসছে ভারতীয় পশু

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : কুরবানির ঈদ সামনে রেখে বেনাপোলের বিভিণœ সীমান্ত পথে বৈধ ও অবৈধ উভয়পথেই ভারত থেকে গরু আসা শুরু হয়েছে। অবৈধপথে বা চোরাচালানের মাধ্যমে কী পরিমাণ গরু আসছে তার হিসাব কারো কাছে না থাকলেও বৈধ পথের একটি হিসাব রয়েছে কাস্টম ও ভ্যাট অফিসে। সেই হিসেবে গস মাসে ৬৪৩১ টি গরু ও ৩২০টি ছাগল এসেছে। এ সংখ্যা ক্রমান্নয়নে বাড়বে বলে কাস্টম ও গরু ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন।
জানা গেছে, যশোরের পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে ভারত সীমান্ত। সীমান্তের বেশিরভাগ স্থান জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া। তবে যে সবস্থানে বেড়া দেয়া নেই সেই পথে অনায়াসে গরু আসে। আর যে পথে কাঁটাতারের বেড়া সেখানে নেয়া হয় ভিন্ন কৌশল। গরু-ছাগল মাঠে চরানোর নাম করে গেট দিয়েই পার করে দেয়া হয়। অবশ্য বিজিবি ও বিএসএফকে এজন্য দিতে হয় মোটা অংকের টাকা।
অন্যদিকে বৈধ পথে গরু, ছাগল ও ভেড়া আনার জন্য বেনাপোলে কয়েকটি খাটালের অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়। তবে পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা এই চারটি খাটালে বর্তমানে সীমিত গরু আসছে। গত ৪/৫ বছর আগে পুটখালীসহ এসব খাটাল হয়ে প্রতিদিন ৩/৪ হাজার গরু আসতো। বিজিবি ও যশোরের নাভারণস্থ পশু শুল্ক করিডোর সূত্র মতে, গত ১ মাসে ৬ হাজার ৪৩১টি গরু ও ৩২০টি ছাগল এসেছে। গরু থেকে ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৫’শ টোকা আয় করেছে সরকার।
এ অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কাস্টমস পরিদর্শক সুমা মনি জানিয়েছেন, বেনাপোল সীমান্তের চারটি পশুহাট পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা দিয়ে যে পশু আসে নাভারণ করিডোরে এর ভ্যাট আদায় করা হয়। হিসাব করে দেখা গেছে, গড়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০টি পশু আসছে। ঈদ সামনে রেখে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। এদিকে কুরবানির আগে পশু আমদানি বেড়ে গেলে বা ভারত থেকে পশু আসা বৃদ্ধি পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশি খামারিরা। তারা যে আশা নিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করেছিলেন সেভাবে দাম না পাওয়ার আশংকা করছেন। অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হবে এমনটা মনে করছেন না যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার। তবে দৈনিক হাজার হাজার এলে দেশি পশুর খামারিরা লোকসানে পড়বে। এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের হিসাব মতে, কুরবানি উপলক্ষে যশোরের ৮ উপজেলায় ৬৮ হাজার ২৫টি পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। এরমধ্যে গরু ৩৫ হাজার ৭০০, ছাগল ২৯ হাজার ৩০০ ও ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার। আর জেলায় ৫৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। অর্থ্যাৎ ২৯ হাজার গরু এবং ছাগল ও ভেড়া মিলে ২৬ হাজার। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলায় কুরবানির পশু সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ