Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৭০ কি.মি. ক্ষতবিক্ষত

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে তাজ উদ্দীন : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চট্টগ্রাম থেকে লোহাগাড়ার শেষ সীমানা চুনতি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দে সৃষ্টি হয়ে ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের চট্টগ্রাম কর্নফুলী শাহ আমানত সেতুর দক্ষিন অংশ থেকে লোহাগাড়ার চুনতি পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দুরত্বে মহাসড়কে অধিকাংশ স্থানে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পটিয়া, চন্দনাইশ, দোহাজারী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার অংশে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার মৌসুম হওয়ায় গর্তগুলোতে পানি জমে মহাসড়ক আরো বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। তবে সড়কটির বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে লোহাগাড়ার ২০ কিলোমিটার এলাকায়। মহাসড়কের ইট পাথর ও বিটুমিন উঠে গিয়ে পুরো সড়ক ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে। ফলে পথচারীসহ গাড়ির যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গর্ত থেকে গাড়ির চাকা রক্ষা করতে চালকরা নির্দ্দিষ্ট সাইড না মেনে অন্য সাইডে গাড়ি চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে যার কারনে দুর্ঘটনার ঝুকি বেড়েছে অনেকাংশে। বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। বোঝার উপায় থাকেনা কোনটা গর্ত কোনটা নয়। যার কারনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাস ট্রাক না জেনের গাড়িগুলো গর্তের উপর তুলে দেয়। এতে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হবার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুকি থাকে শতভাগ। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লোহাগাড়ার ঠাকুরদীঘি, পদুয়া তেওয়ারী হাট, বার আউলিয়া বিশ^বিদ্যালয়, খালেকের দোকান, রাজঘাটা, পুরান বিওসি, বটতলী মোটর স্টেশন, থানা রাস্তার মাতা, আধুনগর, চুনতি ডেপুটি বাজার এলাকার গর্তগুলো দিন দিন ডোবায় পরিনত হয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার সড়কে গর্ত আর গর্ত। বর্তমানে হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। অভিযোগে রয়েছে দোহাজারী সওজের আওতাধীন এই মহাড়কটির সং¯কারের পর বছর না ঘুরাতেই বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। যাত্রীরা জানান, সড়কটি দুরাবস্থার কারনে নির্দ্দিষ্ট সময়ে তারা গন্তব্য স্থানে পৌছাতে পারছে না। আমির আহমদ নামে এক বাস গাড়ি চালক বলেন, মহাসড়কে অসংখ্য খানা খন্দকের কারনে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমনকি অনেক গাড়ি যাত্রা পথেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের অত্যন্ত ঝুকির মধ্যে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ