পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দ্ইু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছাত্রের নাম মোজাফজ্জল হোসেন। সে মোহাম্মদপুরের কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।
এ ঘটনায় আরও এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাদ্রসার শিক্ষকরা মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হলে পুলিশ সেখানে যায়। রাত ৩টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে মাদ্রাসার এক বাথরুম থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভোরে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। মাদ্রাসায় আরও এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় মোফাজ্জলের মৃত্যু হয়। নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য ডাকাকে কেন্দ্র্র করে গত রোববার রাতে মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রদের সাথে নবম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। তবে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর মোফাজ্জলকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল নাকি অন্য কোনো কারণে-সে বিষয়ে তার সহপাঠী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। এদিকে সংঘর্ষের জের ধরে মোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়েছে দাবি তার চাচা আবুল কালামের। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসার হোস্টেলে মাগরিবের নামাজের সময় দশম শ্রেণির ছাত্ররা নবম শ্রেণির ছাত্রদের নামাজের জন্য ডাকতে আসে। এ সময় নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটূক্তি করলে দুইপক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই ঘটনার জের ধরে রোববার রাতে খাওয়ার পর দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নব শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, আরিফ হোসেন, এমদাদ হোসেন ও আফজাল ফয়সাল এবং দশম শ্রেণির আজিজুল হক নামে পাঁচ শিক্ষার্থীও আহত হয়। আহত পাঁচজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয় জানিয়ে মাদ্রাসার প্রধান কাজী আবদুল আলীম রিজভীর দাবি করেন, মোফাজ্জলকে রোববার রাত দেড়টার সময় মাদ্রাসার একটি শৌচারাগারের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। মারামারির ঘটনার পর পরিস্থিতি যেন আরও জটিল না হয় সেজন্য আমরা নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আলাদা ভবনে রাখার ব্যবস্থা করি। এরই মধ্যে রোববার রাত দেড়টার দিকে আমাদের কাছে খবর আসে মোফাজ্জল নামে এক ছাত্রকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে খোঁজাখুঁজি করে দোতলার একটি কমন বাথরুমে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখা যায় ভেতরে একটি ছেলে পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় বলে জানান মাদ্রাসা প্রধান রিজভী। তবে নিজেদের দোষ ঢাকতে শিক্ষকরা সত্যি কথা বলছে না বলে অভিযোগ করেন মোফাজ্জলের এক সহপাঠী। তার বক্তব্য আমরা নিশ্চিত স্যাররা বাথরুমে পাওয়ার যে কথা বলছে তা ঠিক নয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ঘটনার পরপরই তার মাথায় পানি ঢালা হল। এক কাঠমিস্ত্রি তার মাথায় পানি ঢালে। এরপর শিক্ষকরা সবাইকে সরে যেতে বলে। এরপর তাকে নিয়ে চলে যায়। তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেয়া হলে হয়তো সে বেঁচে যেত। এ ঘটনাকে হত্যাকান্ড আখ্যায়িত করে ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।