বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এম এ মতিন, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : গাজীপুরের শ্রীপুরে মরু অঞ্চলের দুম্বার খামার গড়ে উঠেছে। শখের বশে দুম্বার নান্দনিক খামারটি তৈরি করেছেন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে আক্রাম হোসেন মোল্লা। প্রথম অবস্থায় শখের বসে দুম্বা পালন শুরু করলেও এখন তা বাণিজ্যিক চিন্তায় খামারকে আরো প্রসারিত করেছেন। আক্রামের খামারে রয়েছে অর্ধশত ছোট বড় দুম্বা। এরই মধ্যে দুম্বার পাশাপাশি খামারে যোগ হয়েছে তোতাপুরী ছাগল, যমুনাপুরী ছাগল, চিত্রাপুরী ছাগল, গাড়ল। আরো রয়েছে সাদা সৌদিয়ান হারিয়ান প্রজাতির ছাগল।
খামারী আক্রাম হোসেন মোল্লা জানান, বড় ভাই এনামুল হক মোল্লা ছিলেন অন্যরকম শৌখিন প্রকৃতির মানুষ। কোথাও বেড়াতে গেলে বা ঘুরতে গেলে কোনো আকর্ষনীয় দৃষ্টিনন্দন ছাগল, ভেড়া, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখলেই কিনে আনতেন। পরে বড় ভাই এনামুল প্রবাসে চলে গেলে সেই খামারের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ন নিজের কাঁধে তুলে নেন। তিনি জানান, এখন খামারে দুই শতাধিক গাড়ল, ভেরা, দুম্বাসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও উন্নত জাতের দুম্বা ছাগল সংগ্রহ করা হয়েছে। দু’তলা বিশিষ্ট একটি ভবন তৈরী করে সেখানে লালন পালন করছেন এ সব প্রাণী। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে চলছে ছাগল, ভেড়া, গাড়ল ও দুম্বার অধিক পরিচর্যা। খামারে নিয়মিত ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করে। খামারে আট হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিশ হাজার টাকা বেতনের কর্মকর্তাও রয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন এক সময় এ খামারে হাজার শ্রমিক কাজ করবে।
আক্রামের বড় ভাই আবুল কাশেম জানান, ২০১৫ সালের দিকে প্রায় ৭০টি দুম্বা, গাড়ল ও রাম ছাগল নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু। বর্তমানে খামারে ৬৫টি দুম্বা,৭০টি গাড়ল, ১০টি তোতাপুরী ছাগল, ১০ টি যমুনাপুরী ছাগল, ১০টি বুয়াং ছাগল, ১০ চিত্রাপুরী ছাগল ও সাদা সৌদিয়ান হারিয়ান প্রজাতির অতি উন্নত জাতের বেশ কয়েকটি ছাগল রয়েছে। এখন খামারে বিভিন্ন উন্নত প্রজাতির দুই শতাধিক পশু রয়েছে। তিনি জানান একটি পূর্ন বয়স্ক দুম্বার বাজার মূল্য এক লাখ বিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। খামারে সবচেয়ে বেশি দামী ছাগল হচ্ছে সাদা সৌদিয়ান হারিয়ানা। যা প্রায় দুই লাখ টাকা বিক্রি হতে পারে। গাড়ল, তোতাপুরী ছাগল, যমুনাপুরী ছাগলগুলো ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়।
শ্রীপুর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল জলিল জানান, আক্রাম হোসেনের দুম্বা গাড়ল পালনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শুধু দুম্বাই না তাঁর কাছে অনেক উন্নত জাতের ছাগল রয়েছে যা অত্যন্ত আর্কষণীয় ও মূল্যবান। আমরা প্রানী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে টিকাসহ নিয়মিত প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে থাকি। তার দুম্বা খামার দেখে অনেকেই দুম্বার খামার করতে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শ নিতে আসে। তার সাফল্য আমাদেরকে গর্বিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।