বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বামীর নির্যাতনে ৪ সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরছে গৃহবধূ রানু
পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : পরকিয়ায় আসক্ত স্বামীর নির্যাতনে পটিয়ায় রানু বেগম নামের ৪ সন্তানের জননী নিঃস্ব হয়ে এখন পথে পথে ঘুরছে। স্বামীর নির্যাতনের ব্যাপারে পুলিশকে জানালেও কোন সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রানু বেগম এই অভিযোগ করে। পটিয়া উপজেলার পূর্ব রতনপুর গ্রামের কামাল হোসেনের কন্যা রানু বেগমের সাথে বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা গ্রামের মো. হোসেনের পুত্র রহমত উল্লাহ’র সাথে বিগত ২০০১ সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪ কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন যাবত স্বামী রহমত উল্লাহ রতনপুর এলাকার কামরুন নাহার এক মহিলার সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে স্বামী রহমত উল্লাহ রানু বেগমকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় রানু বেগম স্বামী সন্তান নিয়ে পটিয়া আমির ভান্ডার রেল গেইট এলাকায় গত ছয় মাস যাবত ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। গত ৩০ জুলাই রানু তার সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে বেড়াতে গেলে স্বামী রহমত উল্লাহ তার পকরিয়া প্রেমিকা কামরুন নাহারকে নিয়ে ভাড়া বাসায় অবস্থান করতে থাকে। এ খবর পেয়ে রানু বেগম বাসায় এসে তার স্বামী ও পরকিয়া প্রেমিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এই নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে বাসার মালিক সবাইকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে বাসায় তালায় মেরে দেয়। গত ১০ আগস্ট এই ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি এবং জেলা পুলিশ সুপার অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। যার প্রেক্ষিতে গত ১৩ আগস্ট রানু পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিনেই রানুর স্বামী রহমত উল্লাহ জমিদার থেকে বাসার চাবি নিয়ে ট্রাক ভর্তি করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়। মালামাল নেওয়ার সময় থানা পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, স্বামী-স্ত্রী সংক্রান্ত বিষয়টি এসপি স্যার দেখেন। আমাদের করার কিছুই নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।