Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নরসিংদীর ডাক্তার নার্স ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক

| প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রোগী পাচারকারী দালালদের গ্রেফতার করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে রোগী পাচারকারী ৯ জন দালালকে গ্রেফতার করে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনা জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে দালালরা পরদিন হাসপাতালে গিয়ে মহড়া দেয়া এবং হাসপাতালের আরএমও’র ব্যক্তিগত সহকারীকে মারধোর করার ঘটনা নিয়ে জেলা শহরের সর্বত্রই এ নিয়ে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও স্থানীয় আইনজীবীরা বাদীর অভাবে থানা থেকে আসামী ছেড়ে দেয়ার ঘটনাকে আইনের বরখেলাপ বলে অভিহিত করেছেন। জানা গেছে, নরসিংদী সদর ও জেলা হাসপাতালে দালালদের রোগী পাচার ও রোগীদের সাথে প্রতারনা করার ঘটনা ব্যপক আকার ধারণ করলে বছরখানেক পূর্বে লোকজন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে দালাল দমনের অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হিরু হাসপাতালের এক সমাবেশে হাসপাতালগুলোকে দালাল মুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ বছরাধিককালেও মন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর হয়নি। তবে নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন, মাঝখানে কিছু দালালদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তদবিরের কারণে তাদেরকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। সা¤প্রতিককালে নরসিংদী সদর ও জেলা হাসপাতালে দালালদের উপদ্রব বৃদ্ধির বিষয়ে লেখালেখি করার পর গত শনিবার নরসিংদী থানা পুলিশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৯ জন দালালকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ছিলো, দালাল সর্দার আসলাম মিয়া (৪৫)। অন্যান্য দালালরা হচ্ছে সুনিলের স্ত্রী সাবিত্রী (৪০), মৃত দিলীপ দাসের স্ত্রী ভবানী রাণী দাস (৪০), মোখলেছের স্ত্রী রিনা বেগম (৩০), ঘোষপাড়া এলাকার অকন বিশ্বাসের স্ত্রী মনি রাণী শিল (২৭), দত্তপাড়া এলাকার মোখলেছের স্ত্রী শিমু (৩২), ফারুক মিয়ার স্ত্রী লুবনা বেগম (২৫) সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া এলাকার কাইয়ুমের ছেলে পাভেল (২৯) ও শান্তিভাওলা গ্রামের বাছেদ মিয়ার স্ত্রী আছলিমা (৩৫)। শনিবার প্রথম প্রহরে এসব দালালদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন ক্লিনিক মালিক, প্রভাবশালী রাজনীতিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে থানা পুলিশের কাছে তদবির। গভীর রাত পর্যন্ত তদবির চলে। পুলিশ প্রথম দিকে দালালদেরকে আদালতে চালান করার ব্যাপারে দৃঢ় থাকলেও গভীর রাতে তারা নমনীয় হয়ে দালালদেরকে ছেড়ে দেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ