Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বানভাসি মানুষের আহাজারি

যমুনা তিস্তা ব্রহ্মপুত্র ও আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

| প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক: টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রংপুরের পীরগাছায় বন্যাদুর্গত এলাকার ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিন মাসে ১৩ দফা ধস, সিরাজগঞ্জে চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধের ২৫ মিটার যমুনায় বিলীন হয়েছে। আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১২০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৩ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম ধশিরাজী জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষনে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্ল­­াবিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার রনজিৎ কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার থেকে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। রবিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও সেভাবে বন্যা শুরু হয়নি।
এদিকে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির কারণে প্রচন্ড ঘূর্ণাবর্তে সিরাজগঞ্জের চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধের ২৫মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রোববার সকালের দিকে বাঁধের খাষকাউলিয়া এলাকায় এ ধস নামে। শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাঁধটি গত তিনমাসের ব্যবধানে ১৩ বার ধসের কবলে পড়ায় এলাকাবাসির মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা ঘর-বাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করে স্থানীয়রা দ্রæত সেনাবাহিনীর ইনিঞ্জিয়ারিং কেরারের মাধ্যমে কাজ করার দাবি জানান।
পাউবো ও স্থানীয়রা জানায়, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধ নামের এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিনে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যার ৯৫ ভাগ কাজ শেষও হয়েছে। রোববার সকালে বাঁধের চৌহালীর খাসকাউলিয়া অংশে প্রায় ২৫ মিটার জুড়ে ধস নামে। বাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বøক ও জিও ব্যাগ। যমুনার প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে শত কোটি টাকার বাঁধটি গত তিন মাসে ১৩ বার ধসের কবলে পড়ায় এলাকা জুড়ে সবার মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। দফায়-দফায় এমন ভাঙনের কারণ হিসেবে নির্মাণের সময় সøপিং কাজে অকার্যকর মাটি নিচে ফেলে বøক দেয়াসহ পাথরের চারপাশে ফাঁকা স্থানগুলো সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে না দেয়ায় পানি ঢুকে তা সাধারণ ¯্রােতেই সরে গিয়ে এই ধস দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এদিকে, নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি ও কাজের গুনগত মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব ও যুগ্ম সম্পাদক নূর মোহাম্মদ চৌধুরী সঞ্জু জানান, চৌহালী রক্ষায় সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। নদী ভাঙন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তাই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের মাধ্যমে কাজ করার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, বাঁধটির তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, বাঁধের বিভিন্ন অংশে বারবার ধসে যাওয়ায় আমরাও বিব্রত। তাই প্রধান প্রকৌশলী ও পাউবো মহাপরিচালককে সার্বিক বিষয় অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রæত বাঁধ পরিদর্শন করে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সুন্দরগঞ্জে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদ সীমার ওপরে : লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে মোশাররফ হোসেন বুলু জানান, টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ ১০ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৩ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ৫ দিন ধরে একটানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, শ্রীপুর, বেলকা, তারাপুর, কঞ্চিবাড়ি, চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ, গরু, ছাগল, হাস মুরগীসহ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বন্দি মানুষ গবাদি পশু হাঁস-মুরগী নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। অনেকেই বাঁধসহ বিভিন্ন উচু এলাকা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায় বন্যায় ১ হাজার ৯’শ হেক্টর আমন ধান, ১৬৭ হেক্টর শাক সবজি, ১৩১ হেক্টর বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধা সুত্রে জানা গেছে সুন্দরগঞ্জ এলাকায় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৩ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, ইতোমধ্যে বন্যার্তদের জন্য ১০০ মেঃ টঃ চাল ও ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার এমপি গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা, চর খোর্দ্দা, চর তারাপুর এলাকায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করেন।
পীরগাছায় তিস্তার ভাঙনসহ বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রংপুরের পীরগাছায় তিস্তার ভাঙনসহ বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের গাবুড়া, শিবদেবচর, আমিনপাড়া, চরছাওলা কামারের হাট, রামসিং, জুয়ানের চর, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চরতাম্বুলপুর, নামাচর, চররহমত ও কান্দি ইউনিয়নের সতন্ত্ররা, দোয়ানি মনিরাম, তেয়ানি মনিরাম এবং দীঘটারিসহ ৪০টি গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা দূর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত সরকারী ভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। বেসরকারি ভাবে কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
উপজেলার শিবদেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বি-তল ভবনটি তিস্তার ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। ভবনটির বেশীর ভাগ অংশই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। প্রমত্তা তিস্তার ভাঙনে আরও একাধিক গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় আশংকা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, বিদ্যালয়টি ওই চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার আলো ছড়ানো একমাত্র প্রতিষ্ঠান। গতকাল সোমবার পর্যন্ত বন্যা দূর্গত এলাকার ৬০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় অনেক পুকুর ও মৎস্য খামার তলিয়ে যাওয়ায় পুকুরের মাছ বের হয়ে গেছে। এক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন চারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় শতাধিক মৎস খামার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকা ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধের পীরগাছা পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধের তিন কিলোমিটার অংশ হুমকির মূখে পড়েছে। বর্তমানে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে খাদ্য সামগ্রী ও বিশুদ্ধ পানি নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে বন্যা দূর্গত এলাকার লোকজন জানায়।
নওগাঁর মান্দায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, গত তিন দিনের একটানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর পানি হু-হু করে বাড়ছে। গত ২৬ ঘন্টায় এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপদ সীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুটি বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে শিব নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠাকুরমান্দা যাতায়াতের রাস্তা তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে মাঠের আমন ধানের ক্ষেত। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব নদীর বাঁধের ভেতরে থাকা অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার।
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে গত শুক্রবার রাত থেকে আত্রাই, ফকির্নি ও শিবনদের পানি বাড়তে শুরু থাকে। শনিবার দুপুরে এসব নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে। রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আত্রাই নদীর বাইবুল্যা নামকস্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। দুপুরে ১২ টার দিকে পারনুরুল্লাবাদ উত্তরপাড়ায় আরেকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আড়াই শতাধিক পরিবার।
দুর্গত মানুষরা গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে এসব এলাকার ফসলের খেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
এদিকে পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে আত্রাই নদীর শহরবাড়ী ভাংগীপাড়া, কয়লাবাড়ি, চকরামপুর, চকবালু, শামুকখোল হাতিয়ানদহ, প্রসাদপুর খেয়াঘাট, কামারকুড়ি, কালিকাপুর বাজার, কয়াপাড়া বেড়িবাঁধ, পারল²ীরামপুর, মদনচক, নান্নুরঘাট ও আয়াপুর পাগলীতলা এবং ফকির্নি নদীর নুরুল্লাবাদ মন্ডলপাড়া, চকহরি নারায়ন, নিখিরাপাড়া, গোয়ালমান্দা ও করাতিপাড়া। এছাড়া শিবনদের বাদলঘাটা, কোঁচড়া, দুর্গাপুর, শগুনিয়া, ডেবরা, বলাক্ষেত্র, শিমলাদহ, বাঁকাপুর, শংকরপুর, রুয়াই, ভাতহন্ডা এলাকার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো টিকিয়ে রাখতে স্বেচ্ছাশ্রমে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে গ্রামপুলিশসহ স্থানীয়রা।
এদিকে ফকির্নি নদীর বামতীর নুরুল্লাবাদ মন্ডলপাড়া নামকস্থানে বেড়িবাঁধ উপচে পানি পার হচ্ছে। স্থানীয়রা বাঁধটি টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বাঁধটি টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। বাঁধটি ভেঙে গেলে নুরুল্লাবাদ, কশব ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক জানান, বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান নিরুপনে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। তালিকা হাতে পেলেই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানা যাবে।
এান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি পরিবারগুলোর প্রাথমিক তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। খুব দ্রæত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ