Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয়

| প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অতিবৃষ্টি ও পানিবদ্ধতায় কৃষকের ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকা
আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে: জেলায় এবার আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমন আবাদ শুরু হওয়ার প্রারম্ভে অতি বৃষ্টির কারনে এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন কৃষি বিভাগ। জেলায় অধিক বৃষ্টির কারনে আমনের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে ২৫৫ হেক্টর জমির। কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। তবে দেরি হলেও আবাদের লক্ষমাত্রা পুরন হবে বলে আশাবাদি কৃষি বিভাগ। জেলায় এবার আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৮৩ হাজার ৭শত ৬৫ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ৩ শত ২০ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার ৬৬ মেট্রিক টন। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, জেলায় ৮৩ হাজার ৭ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৮শত ৮০ হেক্টর, কলারোয়া উপজেলায় ১১ হাজার ৩ শত ৮০ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭ হাজার ৩ শত ১০ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৫ হাজার ২ শত হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ১৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ৯ হাজার ২ শত ৩০ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫ হাজার ৭ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক আজিজুর রহমান জানান, তার দুই বিঘা নিজস্ব জমির পাশাপাশি আরও তিন বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমনের আবাদ করেছিলেন। প্রথম বীজতলা তৈরি করার পর তা অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবারও বীজতলা তৈরি করেছেন। জমিতে ধান রোপন শুরু করেছেন। বীজতলা তৈরি ও জমির আনুষাঙ্গিগ খরচ মিলে তিনি সে মোতাবেক ধান উৎপাদন করতে পারবেন না বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন ধান রোপন শুরু করলেও জমিতে যে পরিমান পানি রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। আর একটু বৃষ্টি হলে সেটি ও পানিতে ভেসে যাবে বলে তিনি জানান। আশাশুনি উপজেলার কৃষক মোকবুল হোসেন জানান, বীজতল তৈরি করে আমন আবাদ করেছিলেন ১০ বিঘা জমিতে। সেটি পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে নতুন করে আবার বীজতলা তৈরি করে আবাদ শুরু করেছি। বড় কোন বিপর্যয় না হলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে তিনি জানান। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান জানান, জেলায় এবার আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৮৩ হাজার ৭শত ৬৫ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ৩ শত ২০ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিধারন করা হয়েছে দুই লক্ষ ২৬ হাজার ৬৬ মেট্রিক টন। জেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারনে এমনটি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ