Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাণীশংকৈলে প্লাবিত বন্যায় ৫হাজার লোক ঘরবাড়ী ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে

রাণীশংকৈল সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ৮:০৪ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্লাবিত বন্যায় প্রায় ৫ হাজার লোক বাড়ীঘড় ছেড়ে গবাদীপুশু নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয়কারীদের খিচুড়ি খায়ানো হচ্ছে। খিচুড়ি খেয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা কোনমতে বেঁচে আছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর কৃষকের ফসল। প্লাবিত বন্যার মোকাবিলায় সরকারের প্রতিনিধিরা অব্যাহত।

উপজেলার পৌরসভা সহ ৯ ইউনিয়ন ঘরে দেখা গেছে, টানা ৪৮ ঘন্টা ভারী বর্ষণে শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদী এবং নাগর নদী ফ্লাট হয়ে ঘড়বাড়ীতে পানি প্রবেশ করে কাঁচাঘর, আধাপাকা ঘর ভেঙ্গে গেছে। রাস্তা-ঘাট ডুবেগিয়ে যান যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। এদিকে টানা বৃষ্টি ৩দিনের পর ৪দিনে সূর্যের মূক দেখে কিছুটা হলেও স্বস্থি পেয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

উপজেলা ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, প্রায় ২হাজার লোককে খিচুড়ি খাওয়ানো হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ডিগ্রী কলেজ, আবাদতাকিয়া মাদ্রাসা, নেকমরদ ডিগ্রী কলেজ , চৌড়ল মাদ্রাসা সহ ১০টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলার হাড়িয়া নিয়াপাড়া, জওগাঁও, নন্দুয়ার, হোসেনগাঁও, সিদলী, রাউৎনগর, উত্তরগাঁও, বেরাশি, রওশনপুর, বসতপুর, গোগর,লেহেম্বা, বাচোর, কাতিহার, কাশিপুর, ধর্মগড়, চিকনী, চেকপোষ্ট, মীরডাঙ্গী , বলিদ্বারা, নয়ানপুর, সন্ধারই, সাতঘরিয়া, ভাংবাড়ী ও পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার ঘরবাড়ীতে পানি ঢুকেছে এবং রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট তলিয়ে যেতে বসেছে। এসব এলাকার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো, নাহিদ হাসান বলেন, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্লাবিত বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ী বেঙ্গেগেছে, ফসল রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গবাদিপুশুনিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে, মোমবাতি, দিয়াশলায় সরবরাহ করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের সামান্য কিছু আর্থিক দেয়া হয়েছে।

পিআইও জিয়াউর রহমান বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এখন পর্যন্ত করতে পারিনি। কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষকরা এবার ২০ হাজার ২’শ হেক্টর ধান আবাদ করেছিল। বন্যার কবলে প্রায় ৬হাজার হেক্টর ধান পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এবং জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্তদের দেখা শুনা করছেন বলে জানা গেছে। অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান বলেন-তিনি আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়ে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ