Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম বন্যা কবলিত

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ২:৫৪ পিএম

টাঙ্গাইলে অব্যাহত ঊজানের ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ৪টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এলাকাগুলি হচ্ছে- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, কাতুলি, হুগড়া, মামুদনগর ইউনিয়ন, ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী ও নিকরাই ইউনিয়ন, নাগরপুর উপজেলার শাহজানী, ভাদ্রা, তেবাড়িয়া এবং কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন। এসব এলাকার অন্তত ৪০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তির্ণ ফসলি জমি, বাড়ি-ঘর। দুর্গত এলাকার মানুষগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। তারা গবাদি পশুগুলো নিয়ে পড়েছে মহাবিপাকে।

এদিকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি চরম বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। নিয়ন্ত্রণ সীমা অতিক্রম করলে দীর্ঘ মেয়াদী বন্যা দেখা দিতে পারে। এরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে বন্যা পরবর্তি সংকট মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ এলাকায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পানি চরম বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। লেভেলটি ক্রস করলে টাঙ্গাইলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা কোনভাবেই সম্ভব হবেনা। এর সাথে আরও কয়েকটি উপজেলার শত শত গ্রাম প্লাবিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ