Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, আরও ৭ জনের মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ২:৩৪ পিএম

বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় দিনাজপুরে আরও চারজন ও লালমনিরহাটে শিশুসহ তিনজন মারা গেছে। গতকাল রোববার রাতে থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মৃত্যুর এ সব ঘটনা ঘটে।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম জানান, বন্যার কারণে পানিতে ডুবে রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে দিনাজপুরে বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। যাদের মধ্যে সাতজনই পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ছাড়া সাপের দংশনে একজন এবং বিদ্যুৎ-স্পর্শে আরেকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় বন্যার পানিতে কলাগাছের ভেলা উল্টে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো - উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের পূর্ব-বড়ুয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আলিম (৭), ভাতিজা নাজিম (৪) ও নাজিমের মা নাজমা বেগম (৩৫)।
কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, গতকাল রোববার বিকালে মোজাম্মেল ওই তিনজনকে নিয়ে কলাগাছের ভেলায় করে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছিলেন। ভেলা উল্টে গেলে মোজাম্মেল ছাড়া বাকি তিনজন নিখোঁজ হয়। কিছুক্ষণ পর নাজিমের লাশ উদ্ধার করা হলেও নাজমা ও আলিম নিখোঁজ থাকে। সোমবার সকালে এই দুইজনের লাশ পাওয়া গেছে।

এদিকে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছেও। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও জেলার অন্তত ২০টি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয় একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে জল-রাক্ষসের করাল থাবায়। তলিয়ে যাচ্ছে রোপা আমনের ক্ষেত। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে জানা যায়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট ও দিনাজপুর জেলায় বানের তোড় থেকে বসতঘর রক্ষা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া শুকনো খাবারের সংকটে সীমাহীন দুর্ভোগে পানিবন্দি লাখো মানুষ। এদিকে ৩টি স্থানে রেললাইন ধসে যাওয়ায় বুড়িমারী-লালমনিরহাট ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ এলাকায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশন সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার রাত থেকে বিপদসীমা অস্বাভাবিকভাবে অতিক্রম করতে শুরু করে তিস্তার পানি।
নীলফামারী, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কাজ
করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, দমকল বাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ